সিন্ডিকেটের কবলে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস কার্যক্রম, লোকসানে ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে খোলা পণ্য নিয়ে জাহাজ এলে পণ্য খালাসের জন্য শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর এসোসিয়েশন তাদের ইচ্ছেমতো পর্যায়ক্রম অনুসারে অপারেটর নিয়োগ করে, এমন অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৫ বছরে বন্দরের বহির্নোঙ্গরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং তিনগুণের বেশি বাড়লেও সেই তুলনায় বাড়েনি নতুন অপারেটর।
আমদানিকারকদের অভিযোগ, আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্টরা পণ্য খালাসে তাদের পছন্দমত দাম ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে দক্ষ অপারেটর নিয়োগ করতে পারেনা। ফলে তারা জিম্মি হয়ে পড়ছেন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের কাছে।
শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর, যা আগে স্টিভডোর নামে পরিচিত ছিলো, দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দরে প্রায় ৭৫ ভাগ খোলা পণ্য (বাল্ক কার্গো) খালাস করে আসছে।
গত ১৫ বছর ধরে ১৫টি থেকে পর্যায়ক্রমে বেড়ে এখন পর্যন্ত ৩২টি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ পায়। তারা তাদের পছন্দমত পণ্য খালাসের জন্য অপারেটর দিয়ে থাকে, আমদানিকারকদের পছন্দমত নয়।
শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগের জন্য টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দিলে ৮টি অপারেটর প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে রিট করে। এর ফলে গত ১ বছর ধরে ঝুলে আছে টেন্ডার প্রক্রিয়া।
ফলে বর্তমান অপারেটররা একচেটিয়াভাবে হ্যান্ডলিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে। হ্যান্ডলিং খরচ নির্ধারণেও কোন প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা নেই। এতে গতিশীলতা কমছে বন্দরের। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা, এমন অভিযোগ আমদানিকারকদের।