![](https://media.priyo.com/img/500x/https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/08/22/http_cdn.cnn_.com_cnnnext_dam_assets_220820141904-lightning-strike-how-to-survive.jpg?itok=uHg0Xyf0×tamp=1661153613)
যেভাবে বজ্রপাতের ঝুঁকি এড়াবেন
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভৌগোলিক অবস্থান, গাছ কমে যাওয়া ও সচেতনতার অভাবে প্রায় প্রতিবছরই বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে ২০২১ সালে বজ্রপাতে ৩৬৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছেন ১১৭ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষকে সচেতন করা গেলে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকাংশে কমে যেত।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে মূলত ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর এই নয় মাস জুড়েই হয় বজ্রপাত। তবে এপ্রিল ও জুনে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয়ে থাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসেবে গত ২০১১ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত সাড়ে এগার বছরে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৯৫১ জন মানুষের।
তবে বেশকিছু সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে সহজেই এই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে যা করতে পারেন-
বিদ্যুৎ চমকাতে শুরু করলে ঘরের ভেতর আশ্রয় নিন
মেঘ ডাকতে শুরু করলে বা বিদ্যুৎ চমকানোর আওয়াজ শুনলেই যত দ্রুত সম্ভব ঘরের ভেতর আশ্রয় নিন।
এক্ষেত্রে কোনো বড় ভবন বা পাকা দালানের ভেতর অবস্থান গ্রহণ করুন।
তাঁবু, শেড বা পিকনিক শেল্টারের মতো জায়গাগুলো তেমন একটা সুরক্ষিত নয়।
যেসব ভবনের ওয়্যারিং বা প্লাম্বিং ব্যবস্থা ভালো এমন বাড়িতেই আশ্রয় নেওয়া উচিত, কেননা বাড়িতে বজ্রপাত হলে বিদ্যুৎ প্লাম্বিং বা ওয়্যারিংয়ের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে তা ভূঅভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ছোট তাঁবু বা ঘরে সেরকম ব্যবস্থা নেই বলেই সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ।
শেষবার বিদ্যুৎ চমকানোর শব্দ শোনার অন্তত ৩০ মিনিট পর বাইরে বের হওয়া উচিত।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- বজ্রপাত
- ঝুঁকি এড়ানো