কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চা-শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করুন

ডেইলি স্টার সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২২, ০৯:৩৩

চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা করার সরকারি আশ্বাসের পর গত শনিবার ট্রেড ইউনিয়ন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। কিন্তু, শ্রমিকদের একটি অংশ ৩০০ টাকা দৈনিক ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। আমরা চা-শ্রমিকদের এই অংশকে সমর্থন করি।


১৪৫ টাকা মজুরি শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত না হওয়ায়, মজুরি বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য ন্যায্য নয়। কর্মবিরতি অর্থনৈতিক দিক থেকে বাধা হলেও হতদরিদ্র শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা পৌঁছানোর এটিই একমাত্র উপায়। শ্রমিকদের নিরীহ কণ্ঠস্বর মালিকদের কাছে পৌঁছানোর অন্য কোনো উপায় নেই।


সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় ১৬৬ চা-বাগানের শ্রমিকরা গত ১৩ আগস্ট থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠী দেশের সবচেয়ে দরিদ্র ও সবচেয়ে প্রান্তিক। তবুও গত ৮ দিন ধরে তারা বাগানে কাজ করছেন না।


বাংলাদেশ চা সংসদের (সিলেট) চেয়ারপারসনের মতে, এতে 'বিশাল ক্ষতি' হচ্ছে। বাস্তবে শ্রমিকদেরই বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কর্মবিরতিতে থাকায় তারা দৈনিক মজুরি পাচ্ছেন না। বিক্ষোভের প্রতিটি দিন তারা আরও দরিদ্র হচ্ছেন।


ট্রেড ইউনিয়নের সমর্থন ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যেতে তাদেরকে যথেষ্ট সাহসী হতে হয়েছে। সত্যি বলতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় তারা এ সাহস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুসারে, দেশের প্রায় ৭৪ শতাংশ চা-শ্রমিকই দরিদ্র। বিবিএসের এই পরিসংখ্যান মেনে নিলেও শ্রমিকদের এই সংখ্যাটি অনেক বড়। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।


সুতরাং, ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব তাদের জীবনযাত্রার ব্যয়-বৃদ্ধির সঙ্গে সমানুপাতিক নয়। এটি শোষণের ঐতিহাসিক ধারা, যেখানে শ্রমিকরা তাদের 'প্রভুদের' সেবা দিতে বাধ্য।


যদিও শ্রমিকদের আবাসন, রেশন ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু, শ্রমিকদের সবাই আবার সেসব সুবিধা পান না। এসব সুবিধা নিম্ন মজুরিকে ন্যায্য দাবি করার জন্য যথেষ্ট নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও