তৎকালীন জোট সরকার ও হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায় ২১ আগস্ট

বাংলা ট্রিবিউন আশরাফ সিদ্দিকী বিটু প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২, ২১:৩৬

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা আরেকটি ন্যাক্কারজনক ও কলঙ্কজনক অধ্যায়। ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবৈধ সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, ঠিক একইভাবে ২১ আগস্টেও তার পরিবারের সংশ্লিষ্টতা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত, বিচার ও সাক্ষ্যপ্রমাণে পাওয়া যায়।


জিয়াউর রহমান যেমন ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড, তার পুত্র তারেক রহমান তেমনই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড।



২০০৪ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী। ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই এই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। যুদ্ধে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে দিনের আলোয় হামলা চালানো হয়। উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী  লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকেও নৃশংসভাবে কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। এই সব বর্বর হত্যাকাণ্ড শুধু ব্যক্তি মানুষকেই হত্যা নয় পাশাপাশি দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতে পরিচালনা করা হয়েছে।



কী নির্মম, কী বীভৎস! যারা ও যে দল এই দেশ স্বাধীন করলো তাদের ওপরই বারবার হামলা এবং সেই আগস্ট মাসেই। আগস্ট তাই আমাদের জন্য অভিশপ্ত মাস আর ঘাতকদের উল্লাসের মাস।


২১-এ আগস্ট শরতের শুভ্র আকাশ গ্রেনেডের ধোঁয়ায় বিবর্ণ হয়ে কালসে হয়ে ওঠে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছিল জোট সরকার, জঙ্গিরা, তারেক রহমান ও তার হাওয়া ভবন। ক্ষমতার কী ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও কলঙ্কিত অপব্যবহার! যেন সভ্য সমাজে এই গ্রেনেড হামলার ধিক্কার জানানোরও ভাষা-শব্দ অভিধানে পাওয়া দুষ্কর। 



সেদিন ২১ আগস্ট ২০০৪, শনিবার; ৭ ভাদ্র, ১৪১১, শরৎকাল। বিকেলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় দলীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সারাদেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। হাজার হাজার মানুষ সেদিন জড়ো হয়েছিল। সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল নিয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে যাওয়ার কথা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও