ঐশ্বরিয়ার ভক্ত ঐশ্বরিয়া
সিনেমার নাম ‘মায়ানদী’। মালয়ালম সিনেমাটির বাংলা অর্থ ‘রহস্যময়’। এ সিনেমার পরতে পরতে রহস্য তো ছিলই, সঙ্গে ছিল নিস্তব্ধতা ও অনুভূতির খেলা। জীবনের গল্পকে সুন্দর ও সহজভাবে ফুটিয়ে তুলে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রি। যার দেখা পাওয়া যায় এ সিনেমাতেও। ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মায়ানদী’ দিয়ে নজর কেড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী।
‘মায়ানদী’র গল্প দুজনকে নিয়ে। একজন স্ট্রাগলিং অভিনেত্রী, অন্যজন ফেরারি আসামি। আর সেই ফেরারি আসামি হয়ে প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে কিছুক্ষণ কাটানোর মধ্য দিয়েই সিনেমাটি এগিয়েছে। এ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন টভিনো থমাস ও ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী। দুজনের অভিনয় ছিল দুর্দান্ত। বিশেষ করে ঐশ্বরিয়ার চাহনি বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে আরেক ঐশ্বরিয়ার কথা।
২০১৭ সালে ‘নজান্দুকালুদে নাটিল ওরিদাভেলা’ সিনেমা দিয়ে শুরু। এরপরের সিনেমাই ‘মায়ানদী’। ক্যারিয়ারের বয়স হয়েছে পাঁচ বছর। এর মধ্যে অভিনয় করেছেন প্রায় ২০টি সিনেমায়। মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে শুরু হলেও কেরালার মেয়েটি ডাক পেয়েছেন তামিল ও তেলুগুতে। এ বছর মুক্তির অপেক্ষায় আছে প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘পোনিয়ান সেলভান’। মনি রত্নম পরিচালিত এ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
মনি রত্নম ও ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ মিলেছে বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন দক্ষিণের ঐশ্বরিয়া। তাঁর কথা, ‘এ সিনেমায় অভিনয় করা আমার কাছে ছিল কর্মশালার মতো। মনি স্যারের খুবই কাছের মানুষ ঐশ্বরিয়া ম্যাম। ওনারা একসঙ্গে এর আগে একাধিক কাজ করেছেন। আমি তো ভয়ে অনেক কিছুই মনি স্যারকে বলতে পারতাম না। প্রথম দুই সপ্তাহ সেটে শুধু ঘোরাফেরা করেছি, কোনো শুটিং ছিল না। তারপরও ভয় কাটেনি। আমি এত নার্ভাস ছিলাম যে প্রথম দিকে দৃশ্যগুলো একাধিকবার টেক নিতে হতো। ঐশ্বরিয়া ম্যাম তখন অনেক সাহায্য করেছেন।’