বার্ধক্য ঠেকাবে এই চার ফল
তবে এসবের সঙ্গে সুখবরও জানিয়েছেন ফ্লোরেন্স। বলেছেন, চাইলেই খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাপনের পদ্ধতি বদলে এই বুড়িয়ে যাওয়ার গতিকে কমানো যায়। এ জন্য বেশি বেশি ফল আর সবজি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এর ভেতর ২০২১ সালে ‘হার্ভার্ড মেডিকেল স্টুডেন্ট রিভিউ’য়ে প্রকাশিত একটি গবেষণায় চারটি ফলের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো কেবল বুড়িয়ে যাওয়াই রোধ করবে না, শারীরিক জটিলতাজনিত যেকোনো মৃত্যুর ঝুঁকি কমাবে ১৩ শতাংশ, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে ১২ শতাংশ, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবে ১০ শতাংশ ও শ্বাসতন্ত্রের অসুখের ঝুঁকি কমাবে ৩৫ শতাংশ। ফল চারটির কথা জেনে নেওয়া যাক।
১. ব্লুবেরিতে আছে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, খাদ্যআঁশ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, পটাশিয়াম, লোহা। ব্লুবেরি হাড়ের গঠনে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার বেশ কিছু উপাদানও ব্লুবেরিতে আছে। ব্লুবেরি ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ সারিয়ে তুলতে খুবই সহায়ক। এটি কোষের বিভাজনের সময় বাড়িয়ে দেয়। আর আঁশ থাকায় হজমে সহায়তা করে। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় চুল ও ত্বকের জন্য তা খুবই ভালো। এককথায়, বার্ধক্য ঠেকানোর জন্য সবচেয়ে উপকারী হলো ব্লুবেরি।
২. কথায় বলে, ‘অ্যান অ্যাপল আ ডে, কিপস দ্য ডক্টরস অ্যাওয়ে’ অর্থাৎ প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে রোগবালাই দূরে থাকবে। ডাক্তার আর দরকার পড়বে না। এই কথা অনেকটাই সত্য বলে ‘অ্যাডভান্স ইন নিউট্রেশন অ্যান্ড ফুড’–এর একটা রিভিউতে উল্লেখ করা হয়েছে, আপেল বয়সজনিত কারণে যেসব অসুখ হয়, যেমন কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, ক্যানসার, অ্যালঝেইমারের ঝুঁকি কমাতে সরাসরি কাজ করে।
৩. তিন নম্বর ফলটি একেবারেই আমাদের দেশি ফল। জাম্বুরা। অনেক জায়গা বলে মোসাম্বিলেবু। তবে এর ভেতর লেবু, কমলা, মাল্টাও আছে। তবে এই শ্রেণির ফলগুলোর ভেতর জাম্বুরা সবচেয়ে ভালো। জাম্বুরা ও এই জাতীয় ফলের ম্যাগনেশিয়াম উত্তেজনা কমায়। শান্ত থাকতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর আঁশ খাবার হজমে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ক্ষতিকর ফ্যাট আর কোলেস্টেরল পোড়ায়।
৪. এই তালিকার সর্বশেষ ফলটি হলো ডালিম, বেদানা। তবে জুস বানিয়ে খাওয়ার চেয়ে চিবিয়ে খেয়ে রস নিলে অনেক বেশি কার্যকরী হবে। অন্যান্য গুণের ভেতর অন্যতম হলো ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। বার্ধক্যরোধী উপাদানে সমৃদ্ধ। ডালিমের আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, এটি খেতে মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। একে বলা হয় প্রাকৃতিক ইনসুলিন। ডালিম হাড় ভালো রাখে। ক্যানসার প্রতিরোধী। ত্বক আর চুলের জন্য খুবই ভালো।