মানবাধিকারের ক্ষেত্রে জবাবদিহির অভাব রয়েছে

প্রথম আলো মিশেল ব্যাশেলেট প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২, ১৩:৩৬

শুভসন্ধ্যা এবং সভায় আগমনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।


প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। আমি আশা করি, আমার এই সাক্ষাতে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির ব্যাপারে সরকারের সম্পৃক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের মধ্যে সহযোগিতা নিবিড় হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও সুরক্ষার বিষয়টি আরও নিশ্চিত হবে।


বাংলাদেশে আমার আগমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে মিলে গেছে, যে সময় দেশটি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার ঘটনা স্মরণ করছে। এটা ছিল এমন এক দিন, যা স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের ইতিহাসকে প্রতিফলিত করে—এর বেদনাদায়ক অতীত, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য একটি জাতির সংগ্রাম, যাদের অনেকেই ১৯৭১ সালে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিল।


নাগরিক সমাজের সদস্যদের ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার আলোচনায় বাংলাদেশের মানুষের প্রতিরোধ ও সহিষ্ণুতার বিষয়ে তাদের গর্ববোধ জোরালোভাবে উঠে এসেছে।


বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের অবস্থান থেকে উঠে আসার লক্ষ্য স্থির করেছে। সার্বিক প্রতিকূল অবস্থা থেকে যাত্রা করে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন, নারী ও শিশুদের মৃত্যুহার, খাদ্য, পানি ও পয়োনিষ্কাশনের ক্ষেত্রসমূহে সক্ষমতা অর্জনে অগ্রগতি লাভ করেছে।


অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো মানবাধিকারসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এই দেশ। এ দেশ এক মিলিয়নের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। এই রোহিঙ্গারা তাদের বিরুদ্ধে চলমান অত্যাচার ও গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের কবল থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। মানবাধিকারের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে এবং আমি সরকার ও নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গে এ–সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করতে পেরেছি।


ঢাকায় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের অন্যান্য উচ্চপদস্থ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির পাশাপাশি কূটনৈতিক মহলের সদস্যদের ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পারস্পরিক মতবিনিময় করতে পেরেছি। ওই ইনস্টিটিউট জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে। আমার কার্যালয়ের প্রতিনিধিদল ট্রেড ইউনিয়ন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষসমূহের সঙ্গে আমার প্রতিনিধিত্ব করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও