নিয়মিত দেখভালে ত্বক থাকবে সুস্থ
ক্ষতির আগেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হয়। তাই সকাল সন্ধ্যায় নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
ব্রণ ওঠা, বলিরেখা পড়া কিংবা ত্বকের রংয়ে তারতম্য- এরকম বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলেই সাধারণত ত্বক পরিচর্যার দিকে মনযোগ দিতে দেখা যায়। তবে ত্বক-বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন ত্বকের সুস্থতায় নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন।
আর সাধ্যের মধ্যে সীমিত কিছু পণ্য ব্যবহার করে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব।
সকালের সময়টায় যা করা উচিত
ক্লিঞ্জার: নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘অ্যাস্থেটিশিয়ান’ এবং ফেইশলিস্ট ইলদি পেকার বলেন, “বয়স বিশের পর থেকে ত্বকে স্বাস্থ্যকর তেল উৎপাদন বাড়ে। তাই দিনে দুবার ত্বক ভালো মতো পরিষ্কার করা প্রয়োজন।”
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “ত্বক ভালো রাখার ভিত্তি হল সঠিক উপায়ে পরিষ্কার করা। পরিষ্কার ত্বকে ব্যবহৃত পণ্য সহজে প্রবেশ করে এবং কাজ করতে পারে। অন্যথায় তা ত্বকের লোমকূপ আটকে দিয়ে ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।”
নিউ অর্লিন্স’য়ে অবস্থিত ‘অডেবোন ডার্মাটোলজি’র বোর্ড প্রত্যয়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ সেনাক জ্যাকসন বলেন, “ব্রণ কেবল ত্বকে দাগই বাড়ায় বরং কোলাজেনের ক্ষয় করে ও প্রদাহ বাড়ায়।”
ভালো ফলাফলের জন্য মৃদু, আর্দ্রতা রক্ষাকারী ফেইসওয়াশ বাছাই করা এবং ত্বকের বিদ্যমান আর্দ্রতা নষ্ট করে এমন ফেইসওয়াশ এড়িয়ে চলা উচিত।
মুখ ধোয়ার পরে যদি ত্বক খুব বেশি টান টান ও খসখসে মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে পরিষ্কারকটি অনেক বেশি কড়া।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এটা ত্বককে সতেজ রাখে ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। কোলাজেন বাড়িয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা রক্ষায় সহায়তা করে অ্যান্টঅক্সিডেন্ট।
ভিটামিন সি একটা জনপ্রিয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষয় থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে এবং বিবর্ণতা কমায়।
ডা. জ্যাকসন বলেন, “নায়াসিনামাইড’ আরেকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রদাহ কমায় ও জারণের কারণে হওয়া ত্বকের লালচেভাব কমাতে সহায়তা করে।
“এবং ‘রেসভেরাট্রল’ হল আঙ্গুর থেকে পাওয়া একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের কারণে হওয়া ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।”
- ট্যাগ:
- লাইফ
- ত্বকের যত্ন
- ত্বকের সুস্থতা