
মশার লার্ভা বেশি, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে ডেঙ্গু উপদ্রব
অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর মশার উপদ্রব বেশি পাওয়া যাচ্ছে, যে কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তেও লাগাম টানতে পারছে না সরকার। এমনকি আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু উপদ্রব থাকার শঙ্কা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মশকবিরোধী অভিযান জোরদার রাখার পরামর্শ তাদের।
শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্বের জরিপ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তারা এ কথা বলেন।
এসময় অভিযান জোরদার করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ রাখার পরামর্শ দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এডিসের লার্ভার উপস্থিতি বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই এই আগস্ট মাস ও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে যায়। এরপর এডিস মশার প্রভাব কিছুটা কমে আসে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা প্রতিবছর তিনটি জরিপ করে থাকে। এই জরিপগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রি মনসুন, মনসুন ও পোস্ট মনসুন জরিপ। আজকে যে জরিপ হয়েছে তা হচ্ছে মনসুন সার্ভে।
অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, এই জরিপের আজকে অষ্টম দিন। এখানে ওয়ারী এলাকায় দুটি বাসা আর একটি রেস্টুরেন্টে জরিপ করা হয় দুপুর পর্যন্ত। দুটি বাসারই বেজমেন্টে জমা পানিতে লার্ভা পাওয়া গেছে প্রচুর। যার মধ্যে এডাল্ট লার্ভাও ছিল অনেক। রেস্টুরেন্টেও প্রায় একই অবস্থা। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ডেঙ্গুর রোগের প্রভাব কমবে না।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের বছরে যে তিনটি জরিপ হয় তা আমরা একসঙ্গে করে সিটি কর্পোরেশনকে দেই। এরপর সিটি কর্পোরেশন এই অনুসারে বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন কারণে পরিত্যক্ত বাসা-বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখভাল ভালোভাবে হচ্ছে না। এতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় যে এডিসের ঘনত্ব ও সংখ্যা দেখেছি এটি অনেকটাই উদ্বেগজনক।
ডেঙ্গু রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে সেটা আমাদের জন্য ভালো উল্লেখ করে নাজমুল ইসলাম জানান, এতে করে বেশি রোগীদের শনাক্তের মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা দিতে পারছি। এছাড়া যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ পাড়া মহল্লার ফার্মেসি থেকে কিনে খাচ্ছেন সেটা রোগীর জন্য বিপদজনক।