চা শ্রমিকের যৌক্তিক মজুরির প্রশ্ন

বণিক বার্তা আবু তাহের খান প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২২, ০৮:০৫

চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তর, চা বাগান মালিক ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিক প্রতিনিধিদের মধ্যকার দ্বিতীয় দফা বৈঠক গত ১৮ আগস্ট কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে। তবে অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে ধারণা করা চলে, রাষ্ট্র যেহেতু বরাবর মালিক পক্ষের স্বার্থেরই প্রতিনিধিত্ব করে এবং এবারও যেহেতু এর কোনো ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায়নি এবং মালিক ও রাষ্ট্র পক্ষ এ দুয়ের কেউই যেহেতু শ্রমিক স্বার্থের কথা ভাবেন না, সেহেতু এ আলোচনাও একপর্যায়ে মালিকের স্বার্থরক্ষাপূর্বক চাপিয়ে দেয়া সমঝোতার ভিত্তিতেই শেষ হবে। শেষ পর্যন্ত যদি সত্যি সত্যি তাই ঘটে তাহলে এটি শুধু ওই শ্রমিকদের জন্যই একটি বেদনাদায়ক ঘটনা হবে না, একই সঙ্গে তা হবে সব নাগরিকের প্রতি সমআচরণ নিশ্চিত করা সংক্রান্ত সংবিধানের অঙ্গীকার লঙ্ঘনের ধারায় আরো একটি নতুন সংযোজন।


বাংলাদেশে চা শ্রমিকদের বর্তমান দৈনিক মজুরির পরিমাণ ১২০ টাকা, যা ৩০০ টাকায় উন্নীত করার জন্য বহুদিন থেকেই তারা দাবি জানিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে প্রথমে তারা মালিক পক্ষ অর্থাৎ বাংলাদেশ চা সংসদের কাছে সাতদিনের সময় বেঁধে দিয়ে গত ১ আগস্ট একটি স্মারকলিপি পেশ করে। কিন্তু তাতে কোনোরূপ সাড়া না মেলায় গত ৮ আগস্ট থেকে তারা প্রতিদিন ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করে। কিন্তু তাতেও কোনো ফল না পেয়ে ১৪ আগস্ট থেকে তারা পূর্ণ কর্মবিরতিতে নামে, যা বর্তমানে আমরা দেখছি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চা শ্রমিকরা যে মজুরি দাবি করছে তা যৌক্তিক কিনা এবং যৌক্তিক হয়ে থাকলে তা মানতে চা বাগান মালিকদের এত গড়িমসি কেন? আর মালিকরা গড়িমসি করলে তাদের তা মানতে বাধ্য করার ব্যাপারে রাষ্ট্রের কি কোনো দায় নেই? অবশ্যই আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও