বিরোধীরা একজোট হওয়ায় কতটা কাবু এরদোয়ান
তুরস্ক যখন ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান উদ্ভূত অর্থনৈতিক সংকট ও বিরোধী দলগুলোর কার্যকর কৌশলের মুখে জনসমর্থন হারাচ্ছেন। এরদোয়ানের অধীন তুরস্ক গত এক দশকে জনমোহিনী কর্তৃত্ববাদের মডেল হয়ে উঠেছে। তবে বিরোধী ছয়টি দল সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে আলাপ–আলোচনা করে গণতন্ত্রীকরণ অ্যাজেন্ডা নিয়ে একটি বিরোধী জোট গঠন করেছে। তাদের সম্মিলিত চেষ্টা স্বৈরাচারী জনতুষ্টিবাদীদের রুখে দেওয়ার কৌশলনামায় নতুন অনেক কিছু যোগ করবে বলে ধারণা করা যায়।
বছরের পর বছর ধরে এরদোয়ান তাঁর কর্তৃত্ববাদী শাসনে স্থূল সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদ ঢুকিয়েছেন। তিনি নিজেকে এবং তাঁর জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (একেপি) দেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন, সব বিরোধী দলের বৈধতা বাতিল করেছেন এবং বিরোধী অনেক নেতাকে বন্দী করেছেন। সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও গণভোটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে একেপি নির্বাহী বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ সুসংহত করেছে এবং তা করতে গিয়ে দলটি তুরস্কের রাজনৈতিক ও সামাজিক মেরুকরণকে আরও গভীর খাতে ফেলে দিয়েছে।