‘জবাবদিহি শব্দটা আমরা গুম করে দিয়েছি’
ঢাকা মেট্রো গ ২২-৬০০৮। হ্যাঁ, এটি আপনার গাড়ির নম্বর নয়। কিন্তু হতে পারতো আপনার নিজের কিংবা কোনও বন্ধু বা স্বজনের। রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার এই প্রাইভেট কারটির ওপর পড়ে যায়। তারপর যা হবার তা-ই। প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা পাঁচ জন নিহত। তাদের মধ্যে একজন শিশু। তারা একটি বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন। জিহ্বায় তখনও নিশ্চয়ই খাবারের সুগন্ধ লেগেছিল। কেন এই মৃত্যু? দায় কার? নিছক অবহেলা নাকি খামখেয়ালি? এটি কি স্রেফ একটি দুর্ঘটনা কিংবা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি হত্যাকাণ্ড?
ঘটনাটি গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিকাল সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন এলাকার প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল প্রাইভেটকারটি। এ সময় একটি ক্রেন দিয়ে বিআরটির একটি গার্ডার ওঠানোর সময় এটি উল্টে প্রাইভেট কারের ওপরে পড়ে। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়। গার্ডারটি সরাতেও ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও সংশ্লিষ্টদের বেগ পেতে হয়। ঘটনার পরে বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম এই ঘটনার জন্য যান্ত্রিক ত্রুটিকে দায়ী করেছেন। এরইমধ্যে গণমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়া সিসি ক্যামেরার ধারণ করা ভিডিওটি নিশ্চয়ই আপনিও দেখেছেন।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসির সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু প্রতিদিন ঠিক এই পথে যাওয়া-আসা করেন। এই ঘটনার পরে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রতিবারই মনে আশঙ্কা জাগে যদি গার্ডার ভেঙে গাড়ির ওপর পড়ে। বাঁচার সুযোগ নেই। আবার ভাবি, ব্যাক ডালার ওপর পড়লে নিশ্চয়ই বেঁচে যাব। বাঁচার সে কী আকাঙ্ক্ষা!