যে দেশে মৃতরা শুধু সংখ্যা হয়ে যায়

www.ajkerpatrika.com ফজলুল কবির প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২২, ০৯:২৫

জেলখানার চিঠিতে নাজিম হিকমত লিখেছেন, ‘বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড় জোর এক বছর।’ প্রথম পাঠের সময় মনে হয়েছিল, এ কেমন কথা? প্রিয়তমার কাছেও নাকি শোকের আয়ু এক বছর। কিন্তু এখন এই দেশে এই সময়ে মনে বরং বিস্ময় জাগে এই ভেবে—শোক, তা-ও এক বছর ধরে! অবশ্য এটা একবিংশ শতাব্দী। আর ঘরে-বাইরে সবখানে হয় সরাসরি, নয়তো স্নায়ুর যুদ্ধ চলছে প্রতিনিয়ত।


যে দেশে মৃত্যু আগেই পেয়ে গেছে শুধু সংখ্যার পরিণতি, সে দেশে শোক বস্তুটা রাষ্ট্র ঘোষণা না করলে হয় না। আর রাষ্ট্রের ঘোষণার জন্য সংখ্যাটা বড় হতে হয়, কান্নাটা ভারী হতে হয়। যেমনটা ছিল মিরসরাইয়ে অর্ধশত শিশুকে পিঠে নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রাকের ঘটনায়, যেমনটা ছিল রানা প্লাজায়, হুড়মুড় করে ধসে পড়া ভবনটির নিচে চাপা পড়া মানুষের চোখে ও যন্ত্রণায়।


মানুষের চোখে আর কত অশ্রু থাকবে যে, তা কথায় কথায় বেরিয়ে আসবে। ফলে শোক দিবসের কালোকে আরও কালো করে দিতে যখন হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায় চকবাজারে, যখন ঘুমের মধ্যেই মরে যায় ছয়-ছয়টি মানুষ ও তাদের স্বপ্ন, তখন আমাদের চোখে বড়জোর আগুনের ধক লাগে, জল আসে না। কারণ, সে জল তো অনেক আগেই ঝরিয়ে গেছে নিমতলী, চুড়িহাট্টা। সেখানে এর চেয়ে ঢের বেশি মৃত্যু ছিল, এর চেয়ে ঢের বেশি কাভারেজ ছিল সাধের মিডিয়ায়। ফলে এবারের কিশোর শরীফের ঘুম থেকে পুড়তে পুড়তে আরও ঘুমে তলিয়ে যাওয়া, তার অসুস্থ মা-বাবার অবলম্বনহীন হয়ে যাওয়ার গল্প থেকে যায় ব্যক্তিগত, থেকে যায় ব্র্যাকেটবন্দী। মানুষ টিভির স্ক্রলের দিকে তাকিয়ে শুধু সংখ্যাটা দেখে। ফের চলে যায় তেলের দামের ওঠানামার দিকে, তারকাবহুল সবজি বাজারের দিকে। আর যাদের এ নিয়েও ভাবনা নেই, তাদের জন্য আছে হাওয়া, আছে পরাণ, আছে স্যান্ডম্যান কিংবা এমন হাজারটা জিনিস।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও