নৌপথে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে ভারতের

বণিক বার্তা বিআইডব্লিউটিএ ভবন প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২২, ০৮:২৫

ভারতের জাতীয় নৌপথের (এনডব্লিউ) মধ্যে সবচেয়ে বড় পথটি হলো গঙ্গা-ভাগীরথী ও হুগলি নদী হয়ে এলাহাবাদ থেকে হলদিয়া পর্যন্ত। প্রায় ১ হাজার ৬২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পথকে ১৯৮৬ সালে জাতীয় নৌপথ-১ হিসেবে ঘোষণা করে ভারত সরকার, যেটি উত্তর প্রদেশকে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এরপর একে একে আরো পাঁচটি জাতীয় নৌপথ ঘোষণা করা হয়। এর চারটিই বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। তিনটি দিয়ে এরই মধ্যে দুই দেশের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করছে। বাকি পথটি ব্যবহারেও আগামী মাসে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে জলকূটনীতিতে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পকার্ডের ভূমিকা পালন করতে পারে এ নৌপথগুলো।


ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ছয়টি জাতীয় নৌপথ হলো—গঙ্গা নদী দিয়ে এলাহাবাদ থেকে হলদিয়া পর্যন্ত (১ হাজার ৬২০ কিলোমিটার), যেটিকে বলা হচ্ছে এনডব্লিউ-১। ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে সাদিয়া থেকে ধুবরি পর্যন্ত ৮৯১ কিলোমিটার পথটি এনডব্লিউ-২। কেরালা ব্যাকওয়াটারে ২০৫ কিলোমিটার এনডব্লিউ-৩ কোট্টাপুরম থেকে গিয়েছে কোল্লাম পর্যন্ত। এনডব্লিউ-৪ বা গোদাবারি নদী ও কৃষ্ণা খাল দিয়ে ওয়াজিরাবাদ পর্যন্ত যাওয়া পথটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার। পূর্ব উপকূলসহ ব্রাহ্মণী নদী ও মহানদী ব-দ্বীপ প্রণালি হয়ে ব্রাহ্মণী নদী থেকে মহানদী পর্যন্ত ৬২৩ কিলোমিটার পথটিকে বলা হয় এনডব্লিউ-৫। বরাক নদী-লখিপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এনডব্লিউ-৬ পথটি ১২১ কিলোমিটার।


এনডব্লিউ-১, এনডব্লিউ-২, এনডব্লিউ-৫ ও এনডব্লিউ-৬ নৌপথে পড়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি নদী ও সমুদ্র জলসীমা। এর মধ্যে এনডব্লিউ-১ কলকাতা-হলদিয়া-মোংলা হয়ে আশুগঞ্জ-শেরপুর দিয়ে করিমগঞ্জ, এনডব্লিউ-২ কলকাতা থেকে খুলনা-মোংলা হয়ে চিলমারী নদী দিয়ে ধুবরি-পান্ডু-শিলঘাট, এনডব্লিউ-৫ কলকাতা থেকে মেঘনা ও কুশিয়ারা নদী দিয়ে আসাম এবং এনডব্লিউ-৬ কলকাতা থেকে মেঘনা হয়ে আসাম গিয়েছে। এ চারটির তিনটি নৌপথেই ট্রানজিট ও ফ্রেন্ডশিপ চুক্তিতে দুই দেশের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ভারত কুশিয়ারা নদীও ব্যবহার করতে চাচ্ছে। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে সেই নৌপথ ব্যবহার-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিটি স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশের চারটি রুটেই ভারতের যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করতে পারবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও