হিরো আলম, সংসদ সদস্যের মন্তব্য ও পুলিশি হস্তক্ষেপের সীমা

প্রথম আলো জাহেদ উর রহমান প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২২, ০৯:৪৯

ডিবি পুলিশের কাছ থেকে ফিরে এসে জনাব আলম আমাদের জানিয়েছিলেন, ডিবি পুলিশ তাঁকে রীতিমতো তুই-তোকারি করে তাঁর চেহারা, শারীরিক গঠন, গায়ের রং সবকিছু নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলেছিল, তিনি যেন তাঁর নামের আগে আর ‘হিরো’ শব্দটি ব্যবহার না করেন। কিছু পুলিশের ভালো না–ও লাগতে পারে—এটি মাথায় নিয়েই আমি এই কলামে জনাব আলমের নামের আগে ‘হিরো’ লিখছি।


হিরো আলমকে নিয়ে ডিবি পুলিশের কাণ্ড নিয়ে আলোচনা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদমাধ্যমে। এই চরম বিষয়টা ঘটার পর এই বিষয়টা আপাতত শেষ হয়ে যাওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ একটা সাক্ষাৎকারে চোখ পড়ায় মনে হলো বিষয়টা নিয়ে কিছু কথা বলা জরুরি।


৫ আগস্ট জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলের বাংলা ভার্সনে পুলিশের সাবেক আইজি জনাব নূর মোহাম্মদের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়, যাতে তিনি যা বলেছেন, সেটা খুব গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার দাবি রাখে। জনাব নূর মোহাম্মদ সচিব এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও এই আলোচনার ক্ষেত্রে তাঁর সংসদ সদস্য আর সাবেক আইজিপি, গুরুত্বপূর্ণ এই পরিচয় দুটি মাথায় রাখব। সাক্ষাৎকারটিতে জনাব নূর মোহাম্মদ হিরো আলমের শারীরিক গঠন আর তাঁর নাম নিয়ে পুলিশ যা করেছে, সেটাকে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু জনাব আলমের রবীন্দ্র/নজরুলসংগীত গাওয়ার বিষয়ে পুলিশ যা করেছে, সেটা করার ক্ষেত্রে পুলিশের এখতিয়ার আছে কি না, সেটা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন—


‘বাংলাদেশে, আমাদের মতো দেশে পুলিশ কোন কাজটা করে না বলেন? সব কাজই পুলিশ করে, সবকিছুতেই পুলিশকে সম্পৃক্ত করা হয়। রাস্তায় যদি ময়লা পড়ে থাকে, যেটা পুলিশের করার কথা না, কিন্তু সেটাও পুলিশকে করতে হয়। সবকিছু মিলিয়েই তো পুলিশ কাজ করে। এখানে যে বিষয়টা নিয়ে বললেন, সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আমি হিরো আলমের কখনো কিছু দেখি নাই। টিভিতে বা কোথাও হয়তো দু–একবার কিছু দেখেছি, মনে নেই। তার কর্মকাণ্ড আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কীভাবে দেখছে? এটা আমার কাছে নিছক একটা ফাজলামি মনে হচ্ছে না। সমাজ–সংস্কৃতি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, এখানে তাঁদের কথা বলা উচিত। এটা বিকৃত একটা অবস্থান। যেহেতু এখানে কেউ কিছু বলছে না, পুলিশ যদি হস্তক্ষেপ করে, তাহলে অসুবিধাটা কী? আমি বিষয়টাকে ওভাবে দেখি।’


এরপর হিরো আলম যদি সঠিক সুরে রবীন্দ্রসংগীত না গেয়ে থাকেন, তাহলে কেউ না শুনতেই পারেন, কিন্তু সেটা তো অপরাধ হতে পারে না। কিন্তু তবুও পুলিশ এমন করেছে কেন, তার জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচলিত আইনে আমি কোনো অপরাধ দেখি না। কিন্তু এখানে একটা বিষয় আছে, কোনো কিছু বিকৃত করা কিন্তু অপরাধ। রবীন্দ্রনাথের গান তো নির্দিষ্ট একটা সুরেই গাইতে হয়। এটা যদি কেউ বিকৃত করে, তাহলে তাকে কি আইনের আওতায় আনতে হবে না? আমি এটাই মনে করি। ’


একটা রাষ্ট্রে কোনো অঙ্গের কোনো প্রতিষ্ঠান কীভাবে কাজ করবে, তার ক্ষমতা কতটা হবে, কতটুকুইবা হবে তার ক্ষমতা চর্চা করার চৌহদ্দি, সেসব ঠিক করা হয়ে থাকে আইনের মাধ্যমে। এ জন্য একটা রাষ্ট্রে থাকে অসংখ্য আইন, যা আবার মাতৃ-আইনের (সংবিধান) সঙ্গে কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক হতে পারে না। নতুন সময়ে পরিস্থিতি পাল্টে যায়, তাই আগে থেকে থাকা কোনো আইন সংশোধিত হয়। আবার কখনো এতই নতুন পরিস্থিতি আসে যে প্রয়োজন হয় একেবারেই নতুন কোনো আইন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও