কে অধিনায়ক, কে না- সেটা মূল বিষয় নয়: সুজন
জিম্বাবুয়ে সফরের আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাদ দিয়ে নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়ক করা হলো। বলা হলো রিয়াদকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। বিশ্রামের ছুতোয় অভিজ্ঞ এবং এ মুহূর্তে জাতীয় দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারকে দল থেকে বাদও দেয়া হলো। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ১-১ থাকা অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বাঁ-হাতের আঙ্গুলে ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছাড়ায় শেষ ম্যাচে রিয়াদকে টেনে নেয়া হলো টি-টোয়েন্টি দলে। তিনি খেলেন শুধু একজন ক্রিকেটার হিসেবে। নেতৃত্ব তাকে আর দেয়া হয়নি। অবশ্য তার ফল শুভ হয়নি।
রিয়াদ তেমন সফল হননি। শেষ ম্যাচে দলও জেতেনি। জিম্বাবুয়ে সফরের পর এশিয়া কাপে রিয়াদ দলে থাকার পরও অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। কেন রিয়াদকে নেতৃত্ব থেকে সরানো হলো? তার সঙ্গে কথা বলেই কি সাকিবের কাঁধে নেতৃত্বের ভার তুলে দেয়া হলো? নাকি রিয়াদের সাথে কোন কথাবার্তাই বলেনি বোর্ড? এ কৌতুহল ছিল অনেকেরই। আজ বিকেলে সে কৌতুহলি প্রশ্নের জবাব মিলেছে। বিসিবির অন্যতম শীর্ষ পরিচালক, গেমস ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, এ নিয়ে রিয়াদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে।
সুজনের অনুভব কে অধিনায়ক আর কে অধিনায়ক নয়, সেটা খুব বড় বিষয় নয়। আসল কথা হলো সবাই বাংলাদেশের ক্রিকেটার এবং সবাই দেশের জন্যই খেলে। রিয়াদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে জানিয়ে সুজন বলেন, ‘রিয়াদের সাথে তো আমার সাথে কথা হয়েছে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে (জিম্বাবুয়ে) আমি যখন তাকে বলেছি খেলতে, সে রাজি হয়। আমি তাকে ফোন করে বলি যে পরের ম্যাচে খেলতে হবে, কারণ সোহানের চোট আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে মিডল অর্ডারে। রিয়াদ না করেনি, সে বলল আমি খেলবো অসুবিধা নাই।’ সুজন যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় এসব নিয়ে আমরাই প্যানিক তৈরি করি। তারা সবাই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার, দেশের জন্য খেলে। কে অধিনায়ক, কে অধিনায়ক না..., আজকে তামিম ওয়ানডে দলের অধিনায়ক, সাকিব টেস্টের পর এখন টি-টোয়েন্টিতে হয়েছে। পরে অবশ্যই তরুণ ছেলেরা আসবে।’