গুলশানে ‘লজিটেক এক্সপ্রেস স্টোর’ এর উদ্বোধন
বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সুইস টেকনোলজি কোম্পানির লজিটেক ১৯৮১ সালে সুইজারল্যান্ডের লুজানে প্রতিষ্ঠিত হয়। লজিটেক বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু করে ২০১০ সালে। বর্তমানে দেশে জাতীয় পরিবেশক হিসেবে লজিটেক এর পণ্যসমুহ বাজারজাত করছে-স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লি:, এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেড এবং বি-ট্র্যাক টেকনোলজিস লিমিটেড।
লজিটেক পণ্য ডিজাইনে দক্ষতা এবং বিশ্বব্যাপী নাগাল উভয়ই প্রসারিত করেছে। প্রতিটি পণ্যের জন্য, কীভাবে প্রযুক্তি প্রেমী গ্রাহকরা ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং ইন্টারঅ্যাক্ট করে তার ওপর ফোকাস করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায়ই প্রতিটি দেশে পাওয়া যাচ্ছে লজিটেক এর পণ্যসমুহ। পণ্যগুলোর সঙ্গে লজিটেক একটি মাল্টি-ব্র্যান্ড কোম্পানির পণ্য ডিজাইন করে যা সঙ্গীত, গেমিং, ভিডিও এবং কমপিউটিং এর মাধ্যমে মানুষকে একত্রিত করে। লজিটেক এর পণ্যসমুহের মধ্যে রয়েছে মাউস, কি-বোর্ড, হেড সেট, ওয়েব ক্যাম, গেমিং পোর্টফোলিও, গেম প্যাড এবং ষ্পিকার।
গত বৃহষ্পতিবার (১১ আগস্ট) ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলশান-২ এ তাহের টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় লজিটেকের লজিটেক এক্সেপ্রেস স্টোর এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। লজিটেক বাংলাদেশ ‘লজিটেক এক্সপ্রেস স্টোর’ উদ্বোধন করেছে যা তাদের কয়েক দশকের সাফল্যের একটি পরিবর্তন বাস্তবায়নের চেষ্টা, ক্রমবর্ধমান পিসি মার্কেটে। এর উদ্বোধন করেন লজিটেক এর সাউথ এশিয়া ফ্রন্টিয়ার মার্কেটস প্রধান পার্থ ঘোষ এবং মার্কেটিং ম্যানেজার প্রিয়াঙ্ক মন্দিরাত্তা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লজিটেকের জাতীয় পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিস, এক্সেল টেকনোলজিস, বি-ট্র্যাক টেকনোলজিসের প্রতিনিধিবৃন্দসহ ডন সামডানি, সোহাগ
৩৬০, পিসি বিল্ডার্স এবং এটিসিসহ বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লজিটেক বাংলাদেশের চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট প্রধান আরিফুল ইসলাম চৌধুরি, চ্যানেল ম্যানেজার শরিফ উদ্দিন, অ্যাকাউন্ট ষ্পেশিয়ালিষ্ট সিয়ামি বিনতে বেলায়েত, গ্লোবাল আইটি পার্কের স্বত্বাধিকারি বাবুল মুন্সিসহ মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
লজিটেক এর সাউথ এশিয়া ফ্রন্টিয়ার মার্কেটস প্রধান পার্থ ঘোষ বলেন, লজিটেক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বাজারে যাত্রা করে তাদের প্রথম অফিসিয়াল পরিবেশক কমপিউটার সোর্স এর সঙ্গে ২০১০ সালে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তি দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। অপার সম্ভাবনা আছে এদেশের মোট জনগণের ৭০ শতাংশ তারুণ্য শক্তির। কোভিডে জুম কল, হোয়াটসঅ্যাপ কল, ভিডিও কলে তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। জিডিপি বেড়েছে। সেখানেই অংশী হতে, বাজার বাড়াতে এই টাচ অ্যান্ড ফিল দেয়ার সুযোগ তৈরি করলো লজিটেক। বাংলাদেশে ভিডিও কলিংয়ে তাদের ব্যপক প্রসারের পর এবার মনোযোগ দেবে গেমিং পেরিফেরালস এর দিকে। লজিটেক এক্সপ্রেস স্টোরে প্রযুক্তি প্রেমীরা বিশ্বখ্যাত পিসি গেমিং পোর্টফোলিওর সঙ্গে প্রোডাক্টিভিটি উন্নত করতে বা ই-ষ্পোর্টসে এক্সেল করার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরি জুড়ে সর্বোত্তম লজিটেক প্রোডাক্টগুলি উপভোগ করতে পারবে।
লজিটেক এক্সেপ্রেস স্টোর উদ্বোধনের ফলে রাজধানীবাসী লজিটেকের প্রথম এক্সক্লুসিভ শো-রুম পেল। যেখানে গ্রাহকরা খুব সহজে শুধুমাত্র লজিটেকের সকল পণ্য খুব সহজে সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন। এই এক্সপেস স্টোরটির মাধ্যমে গুলশান এলাকার আশেপাশের প্রযুক্তি প্রেমীরা খুব সহজেই পণ্যটি পরখ করে দেখে নিতে পারবেন।
লজিটেক এক্সেপ্রেস স্টোর উদ্বোধন উপলক্ষে পাওয়া যাবে আকর্ষনীয় অফারে এক্সক্লুসিভ লজিটেকের পণ্যসমুহ। লজিটেকের যে কোনো পণ্য ক্রয়ে থাকছে ১০% ছাড়। এই অফার চলবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত পণ্য ভেদে লজিটেক পণ্যে পাবেন তিন বছর পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি। পাশাপাশি সার্ভিস ওয়ারেন্টিও পাবেন।
এ ছাড়াও লজিটেক পণ্য ক্রয়ে চলছে স্ক্রার্চ অ্যান্ড উইন অফার। এই অফারে ক্রেতারা স্ক্রার্চ কার্ড ঘষে নিশ্চিত উপহার পাবেন। দুই জন ভাগ্যবান বিজয়ী পাবেন ল্যাপটপ; তিন জন পাবেন টেলিভিশন; দশ জন পাবেন স্মার্টফোনসহ রয়েছে নিশ্চিত উপহার পাওয়ার নিশ্চয়তা। এই অফার চলবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত।
লজিটেক এক্সেপ্রেস স্টোর এর ঠিকানা:গ্লোবাল আইটি পার্ক, ১০ তাহের টাওয়ার, দোকান নং-২১৯ (২য় তলা), গুলশান-২, ঢাকা।
উল্লেখ্য, লজিটেক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮১ সালে ড্যানিয়েল বোরেল, পিয়েরলুইজি জাপ্পাকোস্টা এবং গিয়াকোমো মারিনির প্রচেষ্টায় সুইজারল্যান্ডের আপেল ভিলেজে। এই তিনজন প্রতিষ্ঠাতার সফ্টওয়্যর ব্যাকগ্রাউন্ডের কারনে লজিটেক এর নামকরণ করা হয়েছিল- লজি (ফরাসি ভাষা ‘লজিসিয়েল’ এর সংক্ষিপ্ত) এবং টেক (টেকনোলজি এর সংক্ষিপ্ত) এর মিশ্রণে। সুইস সমতুল্য সিলিকন ভ্যালি গ্যারেজের একটি ফার্ম বিল্ডিংয়ে স্টার্টআপটি তৈরি হয়েছিল। কিছুদিন পরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বিখ্যাত ১৬৫ ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ, পালো আল্টোতে আরেকটি অফিস চালু হয়েছিল।