স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, টয়লেটে মিললো মরদেহ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ফরিদা খানম (১১) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৪ আগস্ট) মধ্যরাতে উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের রাশেদ শিকদারের ঘরের টয়লেট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় ধর্ষণের আলামতও পাওয়া যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় রাসেলকে (২২) আটকের পর পুলিশে দেন স্থানীয়রা। নিহত ছাত্রীর বাবা মুক্তার শিকদার বলেন, ‘বাড়ির সামনে আমার ছোট একটি মুদিদোকান আছে। মেয়ে ওই দোকানে বেচাকেনা করছিল। রোববার সন্ধ্যার দিকে রাসেল বাকি টাকা দেওয়ার কথা বলে তার ঘরে ডেকে নেয়। দীর্ঘ সময় মেয়েকে না পেয়ে আমরা পুরো গ্রাম ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। রাত ১১টার দিকে রাসেলের বাড়িতে যাই।
এ সময় রাসেল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। তার ঘরের টয়লেটের তালা ভেঙে মৃত অবস্থায় মেয়েকে পাই। এ সময় মেয়ের হাত-পা এবং মুখ বাঁধা ছিল।’ এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত মেয়েটির বাবা ধর্ষণের হত্যার একটি অভিযোগ দিয়েছেন। হত্যার আগে ধর্ষণের আলামতও পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী সার্কেল) সুমন কর জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। মেয়েটির মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।