মেসেঞ্জার হ্যাকিং রোধে ফেসবুকের উদ্যোগ
মেসেঞ্জার চ্যাট প্ল্যাটফর্মে ডিফল্টভাবে অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন (ই২ইই) চালুর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আপডেট শেয়ার করেছে ফেসবুক।
ফেসবুক জানায়, চলতি সপ্তাহে কিছু মানুষের মধ্যে চ্যাটের এই ফিচারটি পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। ফিচারটি আগামী বছর বিশ্বব্যাপী চালু করার পরিকল্পনা করছে ফেসবুক।
ফেসবুক মেসেঞ্জারকে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য একটি সুরক্ষিত প্ল্যাটফর্ম বলে দাবি করে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, কারণ অ্যাপে সাধারণভাবে নিয়মিত যোগাযোগের জন্য অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করা হয় না। যা সংবেদনশীল তথ্যকে যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে রাখে।
অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন নিশ্চিত করে যে, শুধুমাত্র ব্যবহারকারী এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন শুধু তারাই যা পাঠানো হয়েছে তা পড়তে বা শুনতে পারবেন। অর্থাৎ, কনভারসেশনে অংশগ্রহণকারীরা ব্যতীত কেউ, এমনকি মেটা কিংবা ফেসবুকও সেগুলোর অ্যাক্সেস পাবে না বা পড়তে পারবে না। যা তৃতীয় পক্ষ যেমন, হ্যাকার বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য ডিজিটাল কনভারসেশনে আড়ি পাতা অনেক কঠিন করে তোলে। তাই কিছু সরকারপক্ষের ক্ষেত্রে বিষয়টির বিরোধিতার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ অনেকে বলতে পারে অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
আমরা বর্তমানে দেখতে পাই, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটগুলো ডিফল্টভাবে অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপ্ট করা থাকে। অন্যদিকে, ফেসবুক বর্তমানে এই অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশনের সুবিধা মেসেঞ্জারে পৃথক পৃথক চ্যাটের জন্য 'সিক্রেট কনভারসেশন' আকারে চালু রেখেছে। যদিও এই ধরনের ম্যানুয়াল ফিচারগুলো সাধারণত খুব অল্পসংখ্যক নিরাপত্তা-সচেতন ব্যক্তিরাই ব্যবহার করে থাকেন। সেক্ষেত্রে অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশনকে ডিফল্ট করা একটি বেশ বড় উদ্যোগ। যা বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষের দ্বারা ব্যবহৃত চ্যাট প্ল্যাটফর্মটিতে নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর যোগ করবে।