ত্যাগীদের দিয়ে তৃণমূল সাজানোর নির্দেশনা
জাতীয় সম্মেলন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলে সব ধরনের দলীয় কোন্দল নিরসন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, থানা, পৌর, উপজেলা, মহানগর ও জেলা কমিটি ঢেলে সাজানোর কাজ শেষ করার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। প্রতিটি ইউনিটে ব্যাপক হারে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে বলেছেন। এক্ষেত্রে কোনো অনুপ্রবেশকারী যেন দলে যেন ঠাঁই না পায়। একইসঙ্গে কোনো পক্ষপাতিত্ব না করে দুর্দিনের ত্যাগী কর্মীরা যেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ না যান, তাও নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
গণভবনে রোববার আওয়ামী লীগের আট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ বিভাগের সাংগঠনিক রিপোর্ট লিখিত আকারে দলীয় সভাপতির কাছে উপস্থাপন করেন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের বক্তব্য শোনেন দলীয় প্রধান। তারা নিজ বিভাগের বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। দলীয় সভাপতি এসব সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানও দেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, বৈঠকে শুধু সাংগঠনিক নির্দেশনা পেয়েছি। দল গতিশীল করা, সদস্য সংগ্রহ করা এবং সম্মেলন করা। জেলার নেতাদের কবে গণভবনে ডাকা নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে। তবে কবে ডাকা হবে তা চূড়ান্ত করা হয়নি। এবার গণভবনে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত ডাকা হতে পারে বলেও জানান তিনি। উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, ডিসেম্বরে দলের জাতীয় সম্মেলন-এটি মাথায় রেখেই সংগঠনের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। দলের পোড় খাওয়া ও দীর্ঘদিন ধরে দলের রাজনীতির সঙ্গে আছেন-এ ধরনের মানুষকে যেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা হয়। আমেরিকার গ্যাস উত্তোলন চুক্তি দল নাকচ করেছিল। সেই কারণে ২০০১ সালে দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি। সেই বিষয়েও আলোচনা হয়। সরকারের অর্জন দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।