কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

স্মৃতিতে পঁচাত্তরের ভয়াবহ ১৫ আগস্ট

www.ajkerpatrika.com বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৫:২৮

শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিনই এবার টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, তাঁকে টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে কবরে শুইয়ে দিয়ে যারা ভেবেছিল, সব শেষ, বঙ্গবন্ধু হারিয়ে যাবেন বিস্মৃতির অন্তরালে, তারা ভুল বুঝেছিল। বঙ্গবন্ধু এখনো কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়জুড়ে আছেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এখন প্রতিদিন সারা দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ টুঙ্গিপাড়া যান, ফুল দেন সমাধিতে, কবরের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁকে, যাঁর বুকজুড়েই বাংলাদেশ।


তাঁকে ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা অনেক হয়েছে, তাঁর নাম উচ্চারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ইতিহাসের মহানায়ককে বাদ দিয়ে খলনায়ককে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তা সফল হয়নি; বরং এটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে শেখ মুজিবুর রহমান আর বাংলাদেশ অভিন্ন।


আগস্ট মাস এলেই আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে পঁচাত্তরের সেই ভয়ংকর দিনটি। পরিকল্পনা ছিল বঙ্গবন্ধু ১৫ আগস্ট সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। প্রথমে তিনি জগন্নাথ হলে গণকবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তারপর টিএসসিতে গিয়ে ভাষণ দেবেন। আশা করা হচ্ছিল তিনি এমন কিছু বলবেন, যা জাতিকে নতুনভাবে উদ্দীপ্ত করে তুলবে।


বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিক দিয়ে, অর্থাৎ জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট দিয়ে ঢুকে উত্তরবাড়ির সামনে নির্মিত স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে উত্তর গেট, অর্থাৎ শামসুন্নাহার হলের সামনে দিয়ে বেরিয়ে টিএসসিতে যাবেন। যেহেতু তিনি জগন্নাথ হলে প্রথম আসবেন, সেহেতু হলের ছাত্র হিসেবে আমাদের ওপর স্বেচ্ছাসেবকের বাড়তি দায়িত্ব ছিল। স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য বানানো হয়েছিল বিশেষ ক্যাপ (টুপি) ও স্কার্ফ। জগন্নাথ হলের উত্তরবাড়ির নিচতলায় একটি রুমে এসব টুপি ও স্কার্ফ রাখা ছিল, ১৫ আগস্ট প্রত্যুষে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বিতরণের জন্য।


১৪ আগস্ট গভীর রাত পর্যন্ত আমরা ব্যস্ত ছিলাম। খুব অল্প সময় হয়তো ঘুমিয়েছিলাম। শেষ রাতে ঘুম চোখেই গোলাগুলির শব্দ শুনে মনে নানা আশঙ্কা তৈরি হলেও আমাদের এক ‘দাদা’ এই বলে আশ্বস্ত করেন যে বঙ্গবন্ধুর আগমন উপলক্ষে কোনো হলের ছাত্ররা হয়তো বাজি ফুটিয়ে উল্লাস করছে।


খুব ভোরে উঠে তাড়াতাড়ি স্নান সেরে প্রস্তুত হয়ে সকাল ৬টার মধ্যেই হলের উত্তরবাড়ির ক্যানটিনে নাশতা করতে যাই। নাশতা শেষে ক্যানটিন থেকে বেরিয়ে পান-সিগারেটের ছোট দোকানের সামনে আসতেই দোকানমালিক জিতেনদা কাঁপতে কাঁপতে ছোট একটি রেডিও আমার সামনে এগিয়ে ধরে বলেন: ‘বাবু, রেডিওতে এসব কী বলছে!’
আমি স্পষ্ট শুনতে পাই রেডিওর ঘোষণা: ‘শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে।’


আমারও হাত-পা কাঁপতে থাকে। চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। কী করব কিছুই বুঝে উঠতে পারি না। মুখ দিয়ে কোনো কথাও বের হয় না। পা অবশ হয়ে আসে। সামনে এগিয়ে কাউকে যে কিছু বলব, তা-ও পারি না। কয়েক মুহূর্ত এ রকম কিংকর্তব্যবিমূঢ় থাকার পর চোখ যায় হলের স্মৃতিসৌধের দিকে। দেখি নিরাপত্তাকর্মীরা কী এক যন্ত্র দিয়ে মাঠ পরীক্ষা করছেন। বঙ্গবন্ধু এই সৌধে ফুল দেবেন বলেই এ ব্যবস্থা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও