সালমান রুশদি : যে কারণে আলোচিত, সমালোচিত

ঢাকা পোষ্ট অদিতি ফাল্গুনী প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৪:৫০

১২ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সালমান রুশদি মার্কিন সময় সকাল পৌনে এগারোটায় পশ্চিম নিউইয়র্কের এক সাহিত্য সভায় গুরুতর ভাবে আক্রান্ত ও আহত হয়েছেন।


রুশদি এবং তার সহ-বক্তা হেনরি রিজ মাত্রই যখন আলোচনা শুরু করতে যাবেন, তখনি সিরীয় বংশোদ্ভূত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শৈশব থেকেই অভিবাসী, পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত ও চব্বিশ বছর বয়সী যুবক জনৈক হাদি মাতার স্টেজে উঠে সহসা পঁচাত্তর বছর বয়সী রুশদির ঘাড়ে ছুরি হাতে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান।


হাদি মাতাকে সাথে সাথে গ্রেপ্তার করা হলেও রুশদির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই গোটা পৃথিবী এই মুহূর্তে অবগত। ঐ একই অনুষ্ঠানে রুশদির থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরত্বে বসে থাকা তার লিটারেরি এজেন্ট চার্লি সাভেনর জানিয়েছেন যে, রুশদির একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ঐ চোখে তিনি আর দেখতে পাবেন না, তার হাতের স্নায়ু ছিঁড়ে গেছে এবং পাকস্থলীও ছুরিকাঘাতে আহত।


১৯৮৮ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণকারী এই লেখকের চতুর্থ উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের এক বছর পরই বা ১৯৮৯ সালে তদানীন্তন ইরান সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান আয়াতুল্লাহ খোমেনি প্রদত্ত রুশদির হত্যাকারীর জন্য তিন মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেন। তারপর থেকে তেত্রিশ বছর জীবনের অধিকাংশ সময় আত্মগোপনে থাকা রুশদি শেষ বয়সে এসে মাত্রই কি না যখন আবার প্রকাশ্য সভা-সেমিনারে অংশ নিচ্ছিলেন, তখনি এলো এই আচমকা আঘাত।


জীবনের প্রথম ‘অসফল’ উপন্যাস ‘গ্রিমাস (১৯৭৫)’-এরপর ‘মিডনাইটস চিলড্রেন (১৯৮১)’-এর জন্য রুশদি এপর্যন্ত অর্জন করেছেন ‘বুকার প্রাইজ (১৯৮১), ‘দ্য বুকার অফ বুকার্স (১৯৯৩)’ এবং ‘দ্য বেস্ট অব দ্য বুকার্স (২০০৮)।’ এরপরে তিনি আরও লিখেছেন, ‘শেম (১৯৮৩)’, ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস (১৯৮৮)’, ‘হারুন অ্যান্ড দ্য সী অব স্টোরিজ (১৯৯০)’।


হারুন অ্যান্ড দ্য সী অব স্টোরিজ বইটি মূলত ইরান সরকারের ফতোয়া ঘোষিত হওয়ার পর তার কয়েক বছরের কঠিন আত্ম-নির্বাসনে থাকার সময় গল্প বলতে না পারা এক গল্পকথকের কাহিনি, যা পুত্রের জন্য শিশুতোষ রচনার ভঙ্গিতে লিখলেও রুশদি সেখানে তার জীবনের সেই সময়ের সঙ্কটকেই তুলে ধরেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও