২-১ জনের আপত্তিতে রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়া যায়নি: আমু
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের সময় রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যেই বিরোধিতার মুখে পড়ার কথা জানালেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেছেন, “সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর সময় রাষ্ট্রীয় ধর্ম বাতিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ২-১ একজন সদস্য ভিটো দেওয়ায় তা করা সম্ভব হয়নি।”
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমু শনিবার জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির এক আলোচনা সভায় একথা বলেন।
সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনে ২০১০ সালে যে বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তাতে আমুও সদস্য ছিলেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে গঠিত ওই কমিটিতে ১৪ দলের নেতাদের বাইরে কেবল সদস্য ছিলেন জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ওই কমিটির সদস্য ছিলেন।
সংবিধান সংশোধনে আনা বিল পাসের সময় জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ সংসদ সদস্য কয়েকটি বিষয়ে আপত্তিসহ বিভক্তি ভোটে সই করেন। তাদের আপত্তির মধ্যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখাও ছিল।
সংসদীয় কমিটি বিল যাচাইয়ের সময় বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নিয়েছিল। বিশিষ্ট নাগরিকরা তখন রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়ার সুপারিশ রেখেছিল।
১৯৭৫ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করেছিলেন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। পরে আরেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্মের বিধান সংযোজন করেন।