কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বঙ্গবন্ধুর স্বাজাত্যবোধ ও বিশ্বসভায় বাংলাদেশ

দেশ রূপান্তর একেএম শাহনাওয়াজ প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৯:৪২

আমি বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্ব স্মরণ করে শোক ভুলতে চাই। আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা হয়নি। এ একদিকে ভালোই হয়েছে। ব্রিটিশ ঐতিহাসিক কলিংউড বহু আগেই বলেছিলেন ইতিহাস লিখবেন একজন পেশাদার ইতিহাসবিদ। আর লিখবেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার দুই প্রজন্মের পরে। অর্থাৎ কমপক্ষে পঞ্চাশ বছর পার হলে। তখন ইতিহাসকে প্রভাবিত করার মতো কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সক্রিয় থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর সময় থেকে গুনলে এখনো কিছুটা বাকি। কলিংউডের আশঙ্কার মতো আমরা আশঙ্কার সঙ্গে দেখছি অন্য কাউকে জোরপূর্বক উজ্জ্বল করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্বের ঔজ্জ্বল্য ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। এতে নতুন প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে বলে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকৃত গবেষণা হলে অনেক সত্য সামনে চলে আসবে। এতে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত স্বরূপ যেমন প্রজন্মের সামনে চলে আসবে, তেমনি মনগড়া ইতিহাসও কালের গর্ভে নিক্ষিপ্ত হবে।


আজকের লেখায় বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্বের একটি কম আলোচিত বিষয়কে উপস্থাপনের চেষ্টা করব। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মানুষের কাছে এক অনন্য গৌরবের দিন। এদিন প্রথমবারের মতো একজন বাঙালি নেতা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করে বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিকে গৌরবের শিখরে তুলেছিলেন। বাংলা ভাষায় দেওয়া এই বক্তৃতা বঙ্গবন্ধুর বুকে লালন করা স্বাজাত্যবোধেরই প্রকাশ।


বক্তৃতাটিতে তার দেশপ্রেম ও ভাষাপ্রেমের গভীরতা উন্মোচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে শুধু সফল রাজনৈতিক নেতাই নন, বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি তার যে শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ রয়েছে সে সত্যটিও প্রকাশিত হয়েছে এই বক্তৃতার ভেতর। শুধু স্বদেশপ্রীতিই নয়, বিশ্বমানবতার প্রতি তার যে আবেগ এবং দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সহজাত প্রবণতা, এর প্রকাশও স্পষ্ট হয়েছে এই মহান নেতার উপস্থাপিত ভাষণে।


বঙ্গবন্ধু ১৯৭২-এর জানুয়ারিতে স্বদেশে ফিরেছেন পাকিস্তানের মৃত্যুপুরী থেকে। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ তার সামনে। দেশজুড়ে চলছে নানা অস্থিতিশীলতা। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগও সংকটের অনুঘটক হয়ে দেখা দিচ্ছিল। এমন সংকটেও বিশ্বরাজনীতির সামনে বিস্ময়কর সাফল্য স্থাপন করে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালেই উপহার দিয়েছিলেন সংবিধান। হয়তো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের নানা সংকট সামাল দিতে এই সংবিধান উপস্থাপনকে বঙ্গবন্ধু দূরদর্শিতার সঙ্গে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। দেশের এই বাস্তবতায় দু-এক বছরে একটি স্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করা সুকঠিন। তবু চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর মধ্যে ১৯৭৪-এ ভয়াবহ বন্যা বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পদক্ষেপকে অনেকটা শ্লথ করে দিয়েছিল। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। পরাজিত পাকিস্তানি আর তাদের দোসর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শঠ নেতৃত্ব নিশ্চুপে বসে থাকেনি। তারা চেয়েছে এই নবীন রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করে দিতে। এর প্রক্রিয়ায় দেশে একটি দুর্ভিক্ষাবস্থা তৈরি হতে থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও