গলছে অ্যান্টার্কটিকার 'ঘুমন্ত দানব'
একে বলা হয় 'ঘুমন্ত দানব'। কারণ এটি যদি জেগে ওঠে (গলে যাওয়া অর্থে), তাহলে বহু দেশ, বহু বসতি সাগরে তলিয়ে যাবে। শঙ্কার বিষয়- একটু একটু করে গলতে শুরু করেছে অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় বিশাল হিমশৈল। কয়েকশ মাইলজুড়ে বিস্তৃত এ বরফের স্তরকে অল্প শব্দে 'ঘুমন্ত দানব' বলেন গবেষকরা। তাঁরা মনে করেন, বিশ্বের বৃহত্তম এ বরফের রাজ্যের ভাগ্য আমাদেরই হাতে। আমরা একে পুরোপুরি গলে যেতে দিলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ায় বরফের এ স্তর গলতে শুরু করেছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাপমাত্রার বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে না রাখতে পারলে সংকট প্রকট হবে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেশ কয়েক ফুট উঁচু হতে পারে। বিশ্বের মোট বরফের সিংহভাগই পূর্ব অ্যান্টার্কটিকায়। এগুলো যদি পুরোপুরি গলে যায়, তাহলে সমুদ্রের উচ্চতা ১৭০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে! এমন হলে তার পরিণতিও কল্পনার বাইরে। এ ভয়াবহতাকে তুলে ধরতে হলিউডে 'ওয়াটারল্যান্ড'-এর (১৯৯৫) মতো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মনে করা হতো যে 'ঘুমন্ত দানব' গলবে না। কিন্তু এখন এটা গলে যাওয়ার লক্ষণ দেখাচ্ছে। বুধবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন হাজার বছরের মধ্যে বর্তমানে দ্রুতগতিতে গলছে মেরু অঞ্চলের এসব বরফের পাহাড়। এতে যদি সমুদ্রের পানির স্তর কয়েক ফুট বাড়ে, তাতেই বিশ্বের মানচিত্র বদলে যাবে। নিউইয়র্ক, সাংহাইয়ের মতো শহরের উপকূলীয় এলাকার লাখ লাখ মানুষ এর পরিণতি ভোগ করবেন।