‘এলেই যখন, দুটো টাকা দিয়ে যাও’..ফুটপাতে বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য সাহায্য চাইতেন ঋত্বিক ঘটক
উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের পথিকৃৎদের মধ্যে প্রথম দিকেই মাথায় আসে ঋত্বিক ঘটকের নাম। ভিন্নধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণে তার জুরি মেলা ভার। সমাজের নানা অসঙ্গতি, অবস্থাপন্ন মানুষের কথা তুলে ধরেছেন তার চলচ্চিত্রে। এজন্য তাকে সিনেমার বিপ্লবীও বলা হয়।
নিজের চোখে ঘুনে ধরা সমাজের যা দেখেছেন, মানুষকে দেখাতে চেয়েছেন তার কাজের মাধ্যমে, চেয়েছেন মানুষের মধ্যে চিন্তার উদ্রেক হবে। ব্যক্তিগত জীবনে নানা প্রতিকূলতার পরও নিজের কাজের সঙ্গে, আদর্শের সঙ্গে আপোস করেননি কখনো।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'আমৃত্যু আমার জীবনে কম্প্রোমাইজ করা সম্ভব নয়। সম্ভব হলে তা অনেক আগেই করতাম এবং ভালো ছেলের মতো বেশ গুছিয়ে বসতাম। কিন্তু তা হয়ে উঠলো না, সম্ভবত হবেও না। তাতে বাঁচতে হয় বাঁচব, না হলে বাঁচব না। তবে এই ভাবে শিল্পকে কোলবালিশ করে বাঁচতে চাই না।'
ছাত্রজীবন থেকেই তার প্রতিবাদী সত্ত্বাকে তুলে ধরা শুরু করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ করার সময় পত্রিকায় লেখালেখির কাজ শুরু করেন, সেইসঙ্গে যুক্ত হন মঞ্চ নাটকে। মঞ্চ নাটকই হয়ে উঠেছিল তার প্রতিবাদের ভাষা।