হাওয়া সিনেমায় বন্দী শালিক নিয়ে পরিবেশবাদীদের উদ্বেগ, 'ফিকশন' বলছেন পরিচালক
বাংলাদেশে সদ্য মুক্তি পাওয়া একটি বাংলা চলচ্চিত্রে বন্যপ্রাণী শালিক পাখি খাঁচায় আটক দেখানো ও তাকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছে পরিবেশবাদী ৩৩টি সংগঠন।
চলচ্চিত্রের ঐ দৃশ্যটি সংশোধন করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য তারা পরিচালক ও অভিনয় শিল্পীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর একটি জোট, বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট দাবি করছে, চলচ্চিত্রে বেশ কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে।
এটি ছাড়াও সম্প্রতি আরও কয়েকটি নাটক ও বিজ্ঞাপন চিত্রে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জোট। এর ফলে বন্যপ্রাণীর জন্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে তারা মনে করে।
তবে ছায়াছবিটির পরিচালক বলছেন, 'ফিকশন' হিসাবে ওই দৃশ্য দেখানো হলেও কোন বন্যপ্রাণী হত্যা করা হয়নি।
হাওয়া কর্তৃপক্ষ যা বলছে
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর ঐ অভিযোগের বিষয়ে হাওয়া ছায়াছবিটির পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা।
তিনি দাবি করছেন, চলচ্চিত্রে একটি নেতিবাচক চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার জন্য চলচ্চিত্রে খাঁচায় আটকানো শালিক পাখি এবং সেটিকে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু খাওয়ার দৃশ্যটি আসল নয়।
"বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রে ফিকশন করতে গিয়ে বন্যপ্রাণী দেখানো হয়, সেগুলোকে হত্যা করার মতো দৃশ্য থাকে। তাই বলে সত্যি সত্যি তো প্রাণী হত্যা করা হয় না," মি. রহমান বলছেন, "এটা তো একটা চলচ্চিত্র, কোন ডকুমেন্টারি নয়। সেখানে একজন জেলে কীভাবে জীবনযাপন করে, তারই অংশ হিসাবে ওই পাখি দেখানো হয়েছে।''