কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যশোর বিসিকে উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমেছে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট ২০২২, ১৬:২০

উচ্চ তাপে পুরোনো লোহা গলিয়ে নতুন কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরি করে দেশের কৃষি খাতে বিশেষ অবদান রাখছে নাঈমুল মেটাল নামের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) যশোর শিল্পনগরে অবস্থিত এই কারখানার ৭০ জন শ্রমিক মিলে সেচপাম্প, গরু-মহিষের খড় কাটার যন্ত্র ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের যন্ত্রাংশ তৈরি করেন। এসব যন্ত্র খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ৮ ঘণ্টার কাজ এখন ১৩ ঘণ্টায় গড়িয়ে যাচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।


এই চিত্র শুধু নাঈমুল মেটালের নয়, যশোর বিসিক শিল্পনগরের ২৯২টি শিল্পকারখানাতেই লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে বিশেষ করে অটোমোবাইল, ময়দা, রুটি, বিস্কুট ও মিষ্টান্ন তৈরির অন্তত ৫০টি কারখানাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব কারখানায় উৎপাদন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে খরচ বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। বিভিন্ন কারখানার স্বত্বাধিকারী ও বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।


নাঈমুল মেটালের স্বত্বাধিকারী সিরাজ আলী মোল্লা বলেন, ‘যশোরের শিল্পকারখানায় পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ নেই। বিদ্যুতের ওপরই এখানকার শিল্পকারখানার উৎপাদন নির্ভরশীল। বিদ্যুৎ ব্যবহারে উৎপাদন খরচ বেশি হলেও আমরা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু চলমান লোডশেডিং আমাদের উৎপাদন ব্যাহত করে দিচ্ছে। উচ্চ তাপে পুরোনো লোহা গলাতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। ঘণ্টায় পাঁচ হাজার টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়। আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ১০ মিনিটের জন্যও বিদ্যুৎ চলে গেলেই লোহা ঠান্ডা হয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। ফলে লোহা নতুন করে গলাতে সমপরিমাণ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়। এখন দিনের বেলায় প্রতিদিনই দু–তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এদিকে বিকেল পাঁচটার পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ যখন স্বাভাবিক হয়, তখন প্রতি ইউনিটের দাম ৬ থেকে এক লাফে ১৮ টাকা হয়ে যায়। শ্রমিক খরচও
বেড়ে যাচ্ছে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও