জ্বালানি খাতের উন্নয়ন: বঙ্গবন্ধু কী করেছিলেন
বাঙালির কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি চিরায়ত নাম। জাতির পিতা হয়ে ওঠার দীর্ঘ সংগ্রামের প্রক্রিয়ায় দেশকে স্বনির্ভর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সারা জীবন তিনি যা করেছেন, যে পথ দেখিয়েছেন, তা তাঁকে নিত্যস্মরণীয় করেছে। যত দিন বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি থাকবে তত দিন একইভাবে স্মরণীয় ও বরণীয় হবেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালি।
স্বাধীন বাংলাদেশবিরোধী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং কতিপয় কুলাঙ্গার বাংলাদেশির জিঘাংসার শিকার বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য খুব কম সময়ই পেয়েছেন। কিন্তু তার মধ্যেই তিনি এমন কিছু মৌলিক কাজ করে গেছেন, যা বাংলাদেশের ভিত্তি শক্ত করেছে।
২০১০ সাল থেকে ৯ আগস্ট পালিত হচ্ছে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। সেই সুবাদে এখন সবাই জানে যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট, তাঁর সপরিবার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাত্র ছয় দিন আগে শেল অয়েল কোম্পানির কাছ থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্রের শতভাগ মালিকানা কিনে রেখেছিলেন ৪৫ লাখ (সাড়ে চার মিলিয়ন) ব্রিটিশ পাউন্ডে।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তখন খুবই দুর্বল। প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহারও ছিল সীমিত। সেই পরিস্থিতিতেও তিনি যে ওই গ্যাসক্ষেত্রগুলো কেনার সাহসী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটা তাঁর দূরদৃষ্টির পরিচায়ক হিসেবে ইতিহাসে স্বীকৃত। তিনি বুঝেছিলেন, জ্বালানি ছাড়া উন্নয়নের চাকা ঘুরবে না। আর নিজেদের জ্বালানিসম্পদের ভান্ডার সমৃদ্ধ না হলে এবং তার আহরণ ও ব্যবহার বাড়ানো না গেলে জ্বালানিনিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে।