একক আমদানিকারক হিসেবে সরকার মুনাফাভিত্তিক ব্যবসা করতে পারে না

বণিক বার্তা ড. মোহাম্মদ তামিম প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৯

ড. ম তামিম জ্বালানি বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন, পেট্রোলিয়াম প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক বিশেষ সহকারী। বাংলাদেশ ও ভারতে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা শেষে পিএইচডি অর্জন করেন কানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার আগ্রহের ক্ষেত্র তেল-গ্যাস উত্তোলন, তেল ও জ্বালানি অর্থনীতি, পরিবেশ, জ্বালানি নীতি ও পরিকল্পনা। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা, ভর্তুকি, বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার, মজুদ সক্ষমতা, রাষ্ট্রীয় নীতি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয় বণিক বার্তার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা


বিশ্ববাজারে জ্বালানিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে দেশেও দাম বাড়ানো হলো। এটা কতটা যুক্তিসংগত?


দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিশ্ববাজারে উচ্চমূল্যের যে যুক্তি দেখানো হচ্ছে তা আসলে যুক্তিসংগতই নয়। কারণ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য এখন আর নেই, দাম পড়তির দিকে। মাসখানেক আগেই আমি জ্বালানি তেলের দাম কমার কথা বলেছিলাম। তেলের দাম যখন ব্যারেলপ্রতি ১১০ ডলার ছিল, তখন বলেছিলাম, সামনে তেলের দাম কমবে। সেজন্য আমাদের অপেক্ষা করা উচিত, হঠাৎ করে মূল্য সমন্বয় করা উচিত নয়। কেননা, বাংলাদেশে একবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিলে এরপর তা কমানো খুবই কঠিন। নানা কারণেই তা কঠিন। কারণ একবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে সবকিছুরই মূল্য বৃদ্ধি ঘটে— যাত্রী ভাড়া, পরিবহন ভাড়া তো বাড়েই, সঙ্গে অন্যান্য নিত্যপণ্য ও দ্রব্যের দামও বাড়ে। আবার বাংলাদেশে কোনো কারণে একবার দ্রব্যের দাম বাড়লে পরবর্তী সময়ে তা আর কমে না—এখানে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা করবেই। সাধারণ মানুষ এর কোনো সুবিধা পায় না। এসব কারণে আমি সবসময়ই বাংলাদেশে জ্বালানিপণ্যের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলি।


বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে সরকার কী করবে?


আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কমে যেতে পারে। আগেও এমনটি ঘটেছে। তখন তো সরকার দাম কমাবে না! তারা অতিরিক্ত মুনাফা করবে। সরকার যদি অতিরিক্ত মুনাফা করে তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) স্বচ্ছতার সঙ্গে কোনো কথাই বলে না। গত পাঁচ বছরে বিপিসি প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। দুঃসময়ে যদি মুনাফার টাকা কোনো কাজে না লাগে তাহলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ বিপিসি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকার একক আমদানিকারক হিসেবে জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য নিয়ে সেবা খাতে মুনাফাভিত্তিক ব্যবসা করে যেতে পারে না। বাংলাদেশে বিপিসি জ্বালানিপণ্যের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। তারা ব্যবসা করলে রেগুলেটরের আওতায় জ্বালানির দাম নির্ধারণ করতে হবে— হয় একটা সহফর্মুলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে দেশীয় মূল্যের সমন্বয় করতে হবে; যদি সরকার ভর্তুকি উঠিয়ে দিতে চায়। তা না হলে একটা গড় মূল্য স্থিতি অবস্থায় রেখে কম মূল্যের সময় মুনাফাটা বেশি মূল্যের সময় ভর্তুকি দিয়ে দাম ঠিক রাখতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও