প্রতি লিটার অকটেন বিক্রিতে বিপিসির লাভ হবে ৪৬ টাকা

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০২২, ০৮:৪৭

ডিজেল বিক্রিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কাটাতে সরকার অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়িয়েছে। দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৬৫ লাখ টন। এর ৭৩ শতাংশই ডিজেলে পূরণ হয়। গত শুক্রবার রাতে প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ থেকে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


এর পরও প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে বিপিসির লোকসান গুনতে হচ্ছে আট টাকা ২৩ পয়সা করে। এক মাসে এই লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। এই লোকসান সমন্ব্বয় করতেই অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়ানো হয়েছে।


এদিকে অকটেন লিটারে ৮৯ থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রতি লিটার অকটেন বিক্রিতে বিপিসির লাভ হবে ৪৬ টাকা। এই হিসাবে মাসে লাভের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫৭ কোটি টাকা। পেট্রল লিটারে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। এতে মাসে লাভ হবে ৭৪ লাখ টাকা। বিপিসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।


জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামের পার্থক্য পুরোপুরি দূর করতেই রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে জ্বালানি তেলে সরকার ভর্তুকি না দেওয়ার নীতিতে যাওয়ার পদক্ষেপ এটি।


এদিকে গতকাল শনিবার দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ব্যাখ্যায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়, বিপিসির লোকসান কমানোসহ পাশের দেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার।


বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দাম বাড়ানোর পরও প্রতি লিটার ডিজেলে লোকসান হচ্ছে আট টাকা ১৩ পয়সা। নতুন দর নির্ধারণ করার পরও জুলাই মাসের ডিজেল বিক্রির পরিমাণ অনুযায়ী এখন মাসে ডিজেল বিক্রিতে আমাদের লোকসান হবে ১৩০ কোটি টাকা। তবে অকটেন বিক্রিতে মাসে লাভ হবে প্রায় ১৫৭ কোটি টাকা। আর পেট্রল বিক্রিতে মাসে লাভ আসবে ৭৪ লাখ টাকা। ’


বিপিসির চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘ডিজেল প্রান্তিক মানুষ ব্যবহার করে, তাই আমরা এটি লিটারে আট টাকা ১৩ পয়সা করে লোকসান দিয়ে বিক্রি করছি। কিন্তু অকটেন ও পেট্রল মূলত সামর্থ্যবানরাই ব্যবহার করছে। তাই ডিজেলের সঙ্গে অকটেন ও পেট্রলের দামও সমন্বয় করা হয়েছে। ’ তিনি বলেন, ‘পাশের দেশের জ্বালানি তেলের মূল্যের সঙ্গে আমাদের বিরাট পার্থক্য, সেটাও দূর করা মূল্যবৃদ্ধির একটি কারণ। গত বছরের একই সময়ে যে পরিমাণ ডিজেল বিক্রি হয়েছিল, সেই তুলনায় বর্তমানে দৈনিক দুই হাজার মেট্রিক টন বেশি ডিজেল বিক্রি হচ্ছিল। এটি ডিজেল পাচারের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। ’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও