মধ্যবিত্তের টিকে থাকার নতুন লড়াই শুরু

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০২২, ০৮:২১

মধ্যবিত্তের নতুন লড়াই শুরু হলো। অকটেন, পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ধরনের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষেরা। মধ্যবিত্তের কপালেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। জ্বালানি তেলে ইতিহাসের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণায় অনেকটা হতভম্ব সবাই। আরেক দফা মূল্যস্ফীতি বাড়ছে—এটা প্রায় অবধারিত। চাল, ডাল, তেল, লবণের পাশাপাশি যাতায়াত, পোশাক, খাতা-কলমসহ নানা ধরনের খাদ্যবহির্ভূত পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে। আয় না বাড়লে খাবারদাবারসহ ভোগ কমিয়ে সংসারের বাজেট মেলাতে হবে।


জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি জীবনযাত্রার পদে পদে খরচ বাড়াবে। আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন, লাগামহীন খরচে দারিদ্র্যসীমার কিছুটা ওপরে থাকা লাখ লাখ পরিবারকে আবারও গরিব হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।


এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জ্বালানি তেলের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে তা বড়লোকের জন্য শুধু বিরক্তির ব্যাপার। কিন্তু গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের কাছে তা জীবিকার সংকট তৈরি করে। এবারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের বেশি কষ্ট হবে। কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য—সব খাতেই খরচ বাড়বে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, মূল্যস্ফীতির তথ্যে এর প্রভাব আসবে কি না, জানি না। তবে মানুষ বাজারে গিয়ে ঠিকই টের পাবে। কারণ, বাজারের জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির তথ্য লুকিয়ে রাখা যাবে না।

মধ্যবিত্তের টিকে থাকার লড়াই শুরু


কবির হোসেন ওয়ান ব্যাংকের দোহার শাখায় কর্মরত। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস করেন মোহাম্মদপুরে। প্রতিদিন বাসা থেকে মোটরসাইকেলে অফিসে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন ৭০ কিলোমিটারের মতো আসা-যাওয়া করতে হয়। এই পথ চলতে দুই লিটার অকটেন লাগে, খরচ হয় ১৮০ টাকা। কাল (রোববার) থেকে এই পথ যেতে খরচ বাড়বে ৯২ টাকা।


গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে কবির হোসেন তাঁর ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। জ্বালানি তেলের খরচ বৃদ্ধিতে পোষাতে না পেরে দোহার আসা-যাওয়ার পথে রাইড শেয়ার করতে চান। যোগাযোগের জন্য তিনি নিজের মুঠোফোন নম্বর দেন।
কবির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ১০ বছরে কোনো বেতন–ভাতা বাড়েনি। প্রতিবছর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট হয়েছে। এই অল্প আয় বৃদ্ধিতে খাবারদাবার, সন্তানের পড়াশোনা, যাতায়াতসহ সংসার খরচে আর পোষানো যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে যাতায়াতের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে। বাড়বে সংসারের যাবতীয় খরচ। কীভাবে সামাল দেব, বুঝতে পারছি না।’


কবির হোসেনের মতো এই সীমিত আয় ও মধ্যবিত্তের কষ্ট-ভোগান্তি বাড়বে। দারিদ্র্য নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আবার গরিব হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষ। অর্থনীতিতে আকস্মিক চাপ বা নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে এই দারিদ্র্যসীমার একটু ওপরে থাকা পরিবারগুলো আবার গরিব হয়ে যেতে পারে। বিবিএসের জনশুমারি অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ। সেই হিসাবে, ৯ কোটির বেশি মানুষ এমন ঝুঁকির মধ্যে যেকোনো সময় পড়তে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও