জ্বালানি তেলে আগুন

দেশ রূপান্তর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২২, ০৯:০৭

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) গত সাত বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। সে তুলনায় এই সাত বছরে মাত্র একবার সামান্য কমিয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ববাজারে দাম কমার মধ্যেই বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে গতকাল শুক্রবার প্রায় মধ্যরাতে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এর মধ্যে পণ্য পরিবহন ও গণপরিবহনে ব্যবহৃত ডিজেলের দাম প্রায় ৪৩ শতাংশ, কেরোসিনও প্রায় ৪৩ শতাংশ, পেট্রোল ৫১ শতাংশের বেশি এবং অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এসব জ্বালানির মধ্যে দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রের উপজাত কনডেনসেট পরিশোধন করে পেট্রোলের জোগানের শতভাগ আসে। আর কনডেনসেট থেকে আসে অকটেনের চাহিদার ৪০ শতাংশ।


গতকাল রাত ১০টায় সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন দর গতকাল রাত ১২টা থেকেই কার্যকর হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছর নভেম্বরে মধ্যরাতে বাড়ানো হয়েছিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। সেবার লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছিল। লিটারপ্রতি বেড়েছিল ১৫ টাকা, বৃদ্ধির ওই হার ছিল ২৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।


জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির চিন্তা করেনি। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার নিরুপায় হয়েই মূল্য কিছুটা সমন্বয় করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও