বরিস জনসন ও রাজনীতিতে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
বরিস জনসনের বিদায়ের মধ্য দিয়ে আরো একবার সামনে এলো রাজনীতির চিরাচরিত দৃশ্য। ক্ষমতার পালাবদলের চরম নিয়তি হলো—যতটা আগ্রহ-আনন্দ নিয়ে ক্ষমতায় আসেন নেতারা, বিদায় বেলায় তা আর থাকে না; বরং দেখা যায় উলটো চিত্র। ক্ষমতাসীন কোনো প্রধানমন্ত্রীকেই হাসোজ্জ্বল বদনে বিদায় নিতে দেখা যায় না। সাগ্রহে, সানন্দে ক্ষমতা ছাড়তে চান না কেউই। ব্রিটেনের রাজনীতিতে দু-একটি ব্যতিক্রম রয়েছে বইকি। তবে, বাকি সব ক্ষেত্রেই চরম নিয়তিকে মেনে নিয়েই অফিস ত্যাগ করতে হয়েছে ব্রিটেনের নেতাদের। মেজাজ খারাপ করে কিংবা ক্ষোভে ফুঁসতে থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের প্রাক্তন বাসিন্দা হার্বার্ট অ্যাসকুইথ এবং এডওয়ার্ড হিথের বেলায়ই একই বিষয় ঘটেছে। এ দুজন নেতাও তাদের পতনকে মেনে নিতে পারেননি। মানিয়ে নিতে পারেনি বেদনাবিধুর বিদায়কে। কাকতালীয়ভাবে তারা দুজন এবং বরিস জনসন শিক্ষা লাভ করেছেন একই অক্সফোর্ড কলেজে!
ইতিহাস বলে, বেশির ভাগ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীই অন্ততপক্ষে একটি ভালো মানের ‘গ্রহণযোগ্যতা’ থাকা অবস্হায় বিদায় নিতে চান। যদিও তা বেশ ‘দাঁত নিশপিশ’ করা বিষাদময় মুচকি হাসির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। কারো কারো অবশ্য পরবর্তীকালে অন্যান্য প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় কাজ করার নজিরও আছে। আর্থার বেলফোর, নেভিল চেম্বার লেন এবং অ্যালেক ডগলাস-হোম আছেন এই তালিকায়। বেশ কিছু রসাত্মক ঘটনাও আছে এ নিয়ে। যেমন—১৯৩৭ সালে স্ট্যানলি ব্যাল্ডউইন তার বিদায়ের সময় ডাউনিং স্ট্রিটের দরজায় এক পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন—পায়ে স্প্রিং নিয়ে তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন!