মাঝখানে ৩৩৭৬ দিন
জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডে হারতে কেমন লাগে?
বাংলাদেশের এই দলে মাত্র তিনজন দিতে পারতেন সেই অভিজ্ঞতার বয়ান। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। এখন তো আরও আটজন যোগ হয়ে গেলেন তাঁদের সঙ্গে।
বাংলাদেশকে ওয়ানডেতে হারাতে কেমন লাগে?
জিম্বাবুয়ের এই দলে মাত্র দুজনেরই তা জানা ছিল। এখন তো এই অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য আরও নয়জনকে পেয়ে গেলেন রেজিস চাকাভা ও সিকান্দার রাজা।
কিন্তু এই দুজনের কি মনে ছিল সেই সুখস্মৃতি? সন্দেহ হয়। পরাজয়ে পরাজয়ে সেই জয়ের স্মৃতি মুছে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। আজকের কথা নাকি! রেজিস চাকাভা বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন প্রায় এক যুগ আগে, সেই ২০১০ সালে।
সিকান্দার রাজারই বা সেই সুখস্মৃতি মনে থাকে কিভাবে? এটাও তো সেই কবেকার কথা। কালকের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বশেষ জয়ের ম্যাচটিতে জিম্বাবুয়ের এই দলের শুধু সিকান্দার রাজাই ছিলেন। মাঝখানে কেটে গেছে ৩৩৭৬ দিন। ২০১৩ সালের ৮ মের সেই ম্যাচটিও জিম্বাবুয়েতেই। তিন ম্যাচের সেই ওয়ানডে সিরিজটা হয়েছিল বুলাওয়েতে। প্রথম ম্যাচে হারার পর পরের দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজও জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। যে সিরিজে সিকান্দার রাজার ওয়ানডে অভিষেক।
এরপর দুই দল ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে ৫টি। যার প্রথম ৪টি বাংলাদেশে। সেই চার সিরিজের ১৬ ম্যাচেই বাংলাদেশের জয়ের পর জিম্বাবুয়ের জন্য একটু মায়াই লাগছিল। এতে ক্রিকেটীয় দক্ষতা–অদক্ষতার সঙ্গে যে অর্থনীতিও জড়িত ছিল। আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশকে নিজেদের দেশে ডাকতে পারছিল না বলেই না বেচারাদের বারবার বাংলাদেশে আসতে হচ্ছিল। আসছিল এবং গোহারা হেরে ফিরে যাচ্ছিল। জিম্বাবুয়েতে খেলা হলে হয়তো ম্যাচের আগেই এমন রেজাল্ট বলে দেওয়া যেত না।