ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিত্যসঙ্গী ৮ কিমিতে যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে আট কিলোমিটার এলাকায় প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে। যানজটে শাখা সড়কগুলোতেও ধীরগতি দেখা দেয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে বিভিন্ন যানবাহনের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সও। পথচারী, যাত্রীসাধারণ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুলতা-গোলাকান্দাইল এলাকায় ফ্লাইওভার হওয়ায় সেখানে এখন আর যানজট সৃষ্টি হচ্ছে না। তবে বরপা, রূপসী ও বরাব বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় প্রতিদিন থেমে থেমে যান চলাচল করছে। মাঝেমধ্যে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বরপা স্ট্যান্ড থেকেই যানজটের সূত্রপাত বেশি হচ্ছে। বরপাতে যান চলাচলে একটু এদিক সেদিক হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জটের আর মুহূর্তেই তীব্র আকার ধারণ করে তা কাঁচপুর থেকে ভুলতা গাউছিয়া পর্যন্ত প্রসারিত হচ্ছে। এদিকে রূপসী ও বরাব বাসস্ট্যান্ডেও রিকশা, লেগুনা ইজিবাইকের অবাধ বিচরণ, মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড ও শাখা রোডে গাড়ি ওঠা-নামাসহ নানা কারণে যান বাহনের ধীর গতি কিংবা যানজট লেগেই থাকে।
বরপা বাসস্ট্যান্ডের জট কয়েক মিনিট স্থায়িত্ব পেলেই রূপসী ও বরাব যুক্ত হয়ে এদিকে কাঁচপুর অন্যদিকে ভুলতা গাউছিয়া পর্যন্ত আট কিলোমিটারে কখনো ধীরগতি আবার কখনো থেমে থেমে যান চলাচল করছে। মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে যানজটের নেপথ্যে রয়েছে বরপা বাসস্ট্যান্ড। বরপা বাসস্ট্যান্ডে বরপা-মহজমপুর সড়কের মুখে ১০০ গজের ভেতর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রবেশমুখ বন্ধ করে গড়ে উঠেছে চারটি স্ট্যান্ড। এখানে মহাসড়কের লিংক রোডের পূর্বপাশে একাংশ দখল করে বরপা থেকে যাত্রাবাড়ী যাতায়াতকারী গ্রিনবাংলা পরিবহনের স্ট্যান্ড, মহাসড়কের লিংক রোডের পশ্চিম পাশে লেগুনাস্ট্যান্ড, বরপা-মহজম সড়কের মুখে দুপাশ দখল করে গড়ে উঠেছে ইজিবাইক স্ট্যান্ড।
এছাড়া বিভিন্ন পরিবহনের স্টপেজের কারণ তো রয়েছেই। অন্যদিকে বরপাতে মূল স্টেশনের এক পাশে রয়েছে একটি হাই স্কুল। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী প্রবেশ এবং বাহিরের সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে পারাপার করা হয়। স্ট্যান্ডের ২০০ গজ পূর্ব দিকে রয়েছে অন্তিম নিটিং ডাইং নামে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। তাদের শ্রমিক পারাপারেও মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যস্ততম মহাসড়কের একটি স্ট্যান্ডের ৩০০ গজের ভেতরে পাঁচটি স্ট্যান্ডের যানবাহনের চাপ, লিংক রোডে যানবাহন ওঠা-নামা, শিল্প কারখানার শ্রমিক ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী পারাপারসহ সড়কে অতিরিক্ত চাপে একটু এদিক সেদিক হলেই যানজটের সৃষ্টি হয়ে হরমাশোই কাঁচপুর থেকে ভুলতা গাউছিয়া পর্যন্ত প্রায় ৮-৯ কিলোমিটারে বিস্তৃত হয়ে যানজট তৈরি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে দিনে জট লেগে রাত গড়াচ্ছে।