পৃথিবীর প্রাচীনতম মানবনির্মিত স্থাপনা

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২২, ১০:০৬

নীল নদের তীরে সুপ্রাচীনকালে গড়ে উঠেছে মিসরীয় সভ্যতা। এর মধ্যে পিরামিড সবচেয়ে বিস্ময়কর ও রহস্যময় নিদর্শন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত মিসরে ১৩৮টি পিরামিড আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব পিরামিডের অন্যতম নীল নদের পশ্চিমের শহর গিজার নির্জন মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা মধ্যযুগের সপ্তাশ্চর্য ‘গিজার মহা স্ফিংস’। লিখেছেন নাসরিন শওকত


গিজার মহা পিরামিড


গিজার মহা স্ফিংস হলো মিসরের প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা গিজার মহা পিরামিড বা খুফুর পিরামিড নামেও পরিচিত। মিসরের নীল নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত এল গিজা মালভূমিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সরাসরি মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। উপত্যকার মন্দিরের ধ্বংসাবশেষে হেলান দেওয়া স্ফিংস চুনাপাথরের তৈরি একটি মূর্তি। স্ফিংস হলো একটি পৌরাণিক প্রাণী। যার শরীরের নিচের অংশ সিংহের আকৃতির। আর উপরের অংশ দেখতে মানুষের মাথার মতো। মিসরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, স্ফিংসের মুখ চতুর্থ রাজবংশের (২৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের) ফারাও সম্রাট খুফুর মুখের আদলে তৈরি। মহা পিরমিড স্ফিংস মূলত এই রাজবংশের বিশিষ্ট শাসকদের পাহারায় দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় ভাষায় গ্রেট স্ফিংসকে ‘খুফুর দিগন্ত’ বলা হয়।


পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে গিজার মহা পিরামিড একটি, যা আজও প্রায় অক্ষত অবস্থায় টিকে আছে। বিশাল বিশাল পাথর খ- কেটে মহা পিরামিড স্ফিংসের আসল আকৃতি তৈরি করা হয়েছিল। তারপর থেকে চুনাপাথর ব্লকের স্তর দিয়ে পিরামিডগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। গিজার মহা পিরামিড তার থাবা থেকে লেজ পর্যন্ত ৭৩ মিটার (২৪০ ফুট) লম্বা। মাটির ওপর থেকে মাথার উপরের অংশ পর্যন্ত ২০ মিটার (৬৬ ফুট) উঁচু। পেছনের নিতম্ব ১৯ মিটার (৬২ ফুট) চওড়া। এর নাকটি খ্রিস্টীয় তৃতীয় থেকে দশম শতাব্দীর মধ্যে অজানা কারণে ভেঙে যায়। নীল নদের প্রায় ৯ কিলোমিটার পশ্চিমে পুরনো গিজা শহরের অবস্থান। রাজধানী কায়রোর উপকণ্ঠ থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মৃত নগরী আল গিজা। সেখানে মরুভূমির বুকে পিরামিড চত্বর রয়েছে। এই চত্বরেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মিসরের চতুর্থ রাজবংশের তিনটি রাজকীয় পিরামিড। এগুলো হলো যথাক্রমে ফারাও খুফু, তার ছেলে ফারাও খাফ্রে ও খাফ্রের ছেলে মেনকুওরের পিরামিড। এই তিনটি পিরামিডের সমন্বয়েই গিজার মহা পিরামিড গঠিত। চত্বরের কয়েকশ মিটার দক্ষিণ পশ্চিমে ছোট আকৃতির খাফ্রের পিরামিড, এর আরও কয়েক শ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মাঝারি আকারের মেনকুওর পিরামিডের অবস্থান। চত্বরের পূর্বপাশে গ্রেট স্ফিংস বা খুফুর পিরামিড দিয়ে ঘেরা। এই স্থাপনাগুলো ওই সময়ের মিসরের ক্ষমতাসীন এই তিন সম্রাটের সমাধি হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই তিন পিরামিডের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম হলো গিজার মহা পিরামিড। পিরামিডটির সামনে একটি অসম্পূর্ণ মন্দিরে ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও