![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fcdn.banglatribune.net%2Fcontents%2Fcache%2Fimages%2F1100x617x1%2Fuploads%2Fmedia%2F2022%2F08%2F04%2Ftangail2-83736c59cf127334d181d6cdd29d122d.jpg%3Fjadewits_media_id%3D805932)
আড়াই ঘণ্টা চলন্ত বাসে ডাকাতি, কোথায় ছিল হাইওয়ে পুলিশ?
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেসের চলন্ত বাসটি আড়াই ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণে ছিল ডাকাতদের। বাসটি আড়াই ঘণ্টা ধরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া, মধুপুর ও সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়েছে ডাকাতরা। পরে মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায় বালুর স্তূপে বাসটি উল্টে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এত সময় ধরে বাসটি বিভিন্ন সড়কে ঘোরালেও হাইওয়ে পুলিশ কিংবা থানা পুলিশের চোখে পড়েনি। কারণ, এসব সড়কের কোথাও পুলিশের চেকপোস্ট ছিল না। এমনকি হাইওয়ে পুলিশের টহলও ছিল না।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ওই বাসের চালক, দুজন যাত্রী, ঈগল এক্সপ্রেসের পরিচালক ও হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ অবস্থায় বাসচালক, যাত্রী ও ঈগল এক্সপ্রেসের পরিচালক এবং সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন ওই সময় কোথায় ছিল হাইওয়ে পুলিশ?।
ডাকাতদের কবলে পড়া বাসের যাত্রী ছিলেন কুষ্টিয়া শহরের দুই ব্যক্তি ও দৌলতপুরের এক নারী। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তারা বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের পাশে জনতা হোটেলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রীদের রাতের খাবারের জন্য যাত্রাবিরতি দেয় বাসচালক। খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের কাছাকাছি পৌঁছালে ১০-১২ জন যুবক বাসে ওঠে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ে পৌঁছালে রাত ১টার দিকে চালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয় ওই যুবকরা। যাত্রীদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে টাকা, স্বর্ণালংকার এবং মোবাইল লুট করে নেয়। এ সময় এক নারী প্রতিবাদ করলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ফলে সবাই প্রাণভয়ে আতঙ্কে ছিলাম।’