আরব ইতিহাসের রহস্যময় চরিত্র
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গোপন মিশনের দায়িত্বে ছিলেন টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স। ছদ্মনাম ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’। উসমানীয় শাসনকালে আরব গেরিলা বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। কূটনীতি, সম্মুখসমর এবং আলোচনার টেবিলে দুর্দান্তভাবে সফল এই গেরিলা যোদ্ধাকে আরব ইতিহাসের রহস্যময় চরিত্র মনে করা হয়। লিখেছেন নাসরিন শওকত
শুরুর কথা
১৮৭৯ সাল, তখন মধ্য আয়ারল্যান্ডের লেইনস্টার প্রদেশের কাউন্টি ওয়েস্টমির একজন জমিদার স্যার থমাস চ্যাম্পম্যান। সে সময় ভিক্টোরিয়ান যুগের ধনী এই আইরিশ জমিদারের বাড়িতে আসেন ১৮ বছরের সারা জুনার ম্যাডেন। স্যার থমাসের চার মেয়ের গৃহশিক্ষিকার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। জমিদারের খানদানি বাড়িতে তার মেয়েদের পড়াশোনা করিয়ে দিন কাটতে থাকে গৃহশিক্ষিকা সারার। একসময় এই অভিজাত জমিদারের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গৃহকর্মী সারা। তাদের প্রেমের পরিণতি হিসেবে ১৯৮৮ সালে গোপনে ছেলেসন্তানের জন্ম দেন সারা। স্যার থমাস ও সারার প্রেমের ঘটনা প্রকাশ্যে এলে জমিদার তার স্ত্রী এডিথকে ত্যাগ করেন। প্রেমিকা সারাকে নিয়ে তিনি ব্রিটেনে চলে আসেন। তবে এই যুগল কখনোই বিয়ে করেননি। তবে পরে চার্চের নিয়ম মেনে বিবাহিত দম্পতির মতোই তারা লরেন্স পদবি গ্রহণ করেছিলেন। ১৮৯৬ সালে লরেন্স দম্পতি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ার কাউন্টির অক্সফোর্ড শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সারা জুনার ও স্যার থমাস পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। থমাস এডওয়ার্ড লরেন্স ছিলেন তাদের দ্বিতীয় সন্তান। বাবা-মায়ের বিবাহবন্ধন ছাড়াই জন্ম নেন লরেন্স। ১৯১৯ সালে তার বাবার মৃত্যুর পরই লরেন্স প্রথম তার আসল পরিচয় জানতে পারেন।