তিস্তা পারের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি
উজানের পাহাড়ি ঢলে ও গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি। ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছাসহ নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরে বসবাসরত প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে চরে আবাদ করা আমন ধান, পাটসহ বিভিন্ন শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে, দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। মঙ্গলবার দুপুরে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার রাতে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয় পাউবো।
তবে মঙ্গলবার সকালে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমেছে। দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত নোহালী, কোলকোন্দ, লহ্মীটারী, গজঘন্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়নের আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে ঘরের আসবাবপত্র, গবাদি পশু নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া রংপুরের কাউনিয়া, পীরগাছাসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী ডালিয়া ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। ধান-পাটসহ ফসলি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।