কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৬ মাসে ঢাকা জেলায় ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটেছে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২২, ১৩:৩৯

জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৭৬ নারী। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ২৪ নারী, আর এ কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৬ জন। এ ছাড়া আর ৭২ নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। মোটাদাগে এই হলো গত ছয় মাসের ধর্ষণের পরিসংখ্যান।


বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ছয় মাসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ৫ জুলাই। এবারই প্রথম জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেছে তারা। সেই বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ৪৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর নারায়ণগঞ্জে ৩৭টি, চট্টগ্রামে ২৭, গাজীপুর ২২ ও নোয়াখালী জেলায় ১৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।


আসকের পরিচালক (প্রোগ্রাম) নীনা গোস্বামী প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের সংখ্যা ঢাকা জেলায় কেন বেশি, তা নিয়ে আলাদা করে কোনো গবেষণা হয়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সংস্থাটি জেলা পর্যায়ের আলাদা পরিসংখ্যান বের করার চেষ্টা করেছে। সংবাদ প্রতিবেদন বেড়েছে বলে ঢাকা জেলা এগিয়ে কি না, তা নিয়ে আলাদা করে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।


বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মানুষ ঢাকামুখী। অন্য জেলায় ৬৪ জেলার মানুষ পাওয়া না গেলেও ঢাকায় পাওয়া যাবে। ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলায় জনসংখ্যা বেশি, জনবসতির ঘনত্বও বেশি। অপরাধীদের সংখ্যাও বেশি। তবে এটাও ঠিক, ঢাকা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নজরদারিও বেশি। গোয়েন্দা নজরদারি, টহল ও সিসিটিভি ক্যামেরার আওতা বাড়ানোসহ পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাই অপরাধীরা অপরাধ করে পার পাবে না।


ধর্ষণসহ নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুরা ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) সমন্বিত সেবা পাচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির তথ্য বলছে, ২১ জুলাই ওসিসিতে ধর্ষণের শিকার হয়ে ভর্তি ছিল নয়জন নারী ও শিশু। গত ছয় মাসে ওসিসিতে ভর্তি থাকা ৩৬৮ জনের মধ্যে ৩৪৮ জনই ধর্ষণের শিকার হয়ে ভর্তি ছিল।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির প্রধান সমন্বয়কারী বিলকিস বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ওসিসির পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে বলা যায়, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে শারীরিক নির্যাতনের চেয়ে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের শিকার হয়ে আসা নারী ও শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। বিলকিস বেগমের মতে, সচেতনতার কারণে ঢাকা জেলায় ঘটনা ঘটার পর গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হচ্ছে বেশি। আইনি সহায়তাও বেশি নিচ্ছে ভুক্তভোগীরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও