কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন মানুষ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২২, ১১:২৭

উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে জীবনযাত্রার মান ঠিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে সীমিত আয়ের মানুষেরা। তাই খরচ বাড়লে সঞ্চয়ে টান পড়ে। আর বাড়তি বা বিকল্প আয়ের উৎসগুলো সংকুচিত হলে বিপদ আরও বাড়ে।


সরকারি হিসাবে দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখন ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে জাতীয় মজুরির হার এখন কম। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্রে মানুষের নিট বিনিয়োগও অর্ধেক হয়ে গেছে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সংসারের খরচ সামলান অনেকেই। আবার শেয়ারবাজারের পতন হচ্ছে দিন দিন। ফলে বিনিয়োগকারীরা আছেন লোকসানে। এদিকে ব্যাংক খাতে আমানতও সেভাবে বাড়ছে না। এ শ্রেণিকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনো উপায় সরকারের তরফ থেকে নেওয়া হচ্ছে না।


সব মিলিয়েই করোনার সময় থেকেই মানুষের সঞ্চয় কমে গেছে। আর এ অবস্থা শুধু ব্যক্তিপর্যায়ের নয়, জাতীয়ভাবেও একই সমস্যা। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ অনুযায়ী, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় দেশজ সঞ্চয় কমে আসছে। অর্থাৎ জিডিপি যে হারে বাড়ছে, সঞ্চয় সেভাবে বাড়ছে না। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশজ সঞ্চয় ছিল ২৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে তা কমে হয়েছে ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।


মানুষের এমন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষই যেমন কষ্টে আছে, আমরাও আছি। আমাদের কষ্টটা সাময়িক। আশার কথা যে জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেলসহ সব খাদ্যপণ্যের দামই কমতির দিকে।’


সঞ্চয়পত্র ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য যা যা করার দরকার, সবই করবেন বলে আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘অর্থনীতির সূচকগুলো ১৩ বছর আগে কত ছিল আর এখন কত, সেটাও দেখতে হবে।’


সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ১০০% কমেছে


ঢাকার নিউ ইস্কাটনের বাসিন্দা শিউলি তাবাসসুম একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করতেন। করোনার কারণে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেছে। ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়ে। একমাত্র উপার্জনকারী স্বামীর আয়েও সংসার আর চলছে না। মেয়াদ পূর্তির আগে তো বটেই, এক বছর না যেতেই গত জুন মাসে পাঁচ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে দেন তাবাসসুম শিউলি।


তাবাসসুম শিউলি বলছিলেন, ‘ছেলেমেয়ে নিয়ে যখন স্কুলে যাই, পরে অনেক মায়ের সঙ্গেই আড্ডা হয়। এখনকার আড্ডার বিষয়বস্তু হচ্ছে কে কত টাকার সঞ্চয়পত্র ভেঙে কত টাকার লোকসান গুনেছেন। অনেকেই সঞ্চয়পত্র ভেঙে জমানো টাকা খরচ করছেন।’


জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে গতকাল সোমবার পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে সঞ্চয়পত্র বিক্রি অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় ১৯ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও