আমার বঙ্গবন্ধু-দর্শন ও হারিয়ে যাওয়া একটি অ্যালবাম

www.ajkerpatrika.com মানবর্দ্ধন পাল প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০২২, ১৪:৪১

তখন কৈশোরকাল। সদ্য এসএসসি পাস করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছি ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে। ১৯৭৩ সাল। এ বছরই স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু জনসভা করতে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস ময়দানে এসেছিলেন। লক্ষাধিক মানুষ ঠাঁই নেওয়ার মতো বিরাট মাঠ। উত্তরে ব্রহ্মপুত্র, দক্ষিণে মুমিনুন্নেসা কলেজ, পশ্চিমে জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা এবং পুবে প্রশস্ত রাস্তা। কলকাতার গড়ের মাঠ দেখিনি, তবে ময়মনসিংহবাসীর জন্য সার্কিট হাউস গড়ের মাঠতুল্যই। বঙ্গবন্ধু তখন হ্যামিলনের বংশীবাদকের চেয়েও মহান জাদুকর—লিলিপুটের দেশে গ্যালিভারের মতো হিমালয়সদৃশ পুরুষ! তখন তিনি শেখ মুজিব নন, মুজিব ভাই নন—বাঙালির নয়নমণি বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতাপ্রিয় বাঙালির কাছে তাঁর প্রায় ঐশ্বরিক খ্যাতি ও দৈবিক জনপ্রিয়তা এমনই তুঙ্গে যে তাঁকে একনজর দেখে পুণ্যলাভ করতে মানুষ প্রাণপাতেও যেন প্রস্তুত।


ময়মনসিংহে তিনি আসবেন শুনে আমরা ঈদের গরু চালানের ট্রাকের মতো বোঝাই হয়ে ভাঙাচোরা পায়জামামার্কা রাস্তায় দুলতে দুলতে, ঝাঁকুনি খেতে খেতে ময়মনসিংহে যখন পৌঁছাই, তখন দুপুর গড়িয়েছে। ইতিমধ্যে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে লোকারণ্য ছড়িয়ে পড়েছে রাস্তায়, ব্রহ্মপুত্রের তীরে—অতিকায় বৃক্ষরাজি ও আশপাশের বিল্ডিংয়ে। গাছগুলোও কিশোর দর্শকে পরিপূর্ণ। মনে হচ্ছে, ডালগুলো যেন অপক্ব মনুষ্য-ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে। ছাদেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই—নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, আবালবৃদ্ধবনিতা। তাই দুর্বল স্বাস্থ্যের আমি ট্রাক থেকে নামার সাহস আর পেলাম না! তাঁকে নামামাত্র আবছায়া দেখে বাকিটুকু ভালোবাসা দিয়ে কল্পনা করে নিলাম। বঙ্গবন্ধুর মুখের আদল, কালো ফ্রেমের চশমা, তাঁর দেবদূততুল্য সফেদ পাঞ্জাবি, কালো কোট এবং আপাদমস্তক চেহারা। এই ছিল বাস্তব ও কল্পনার মিশেলে আমার প্রথম ও শেষ চাক্ষুষ বঙ্গবন্ধু-দর্শন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও