কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নিজে গোছাচ্ছেন দল আর নেতাদের দিয়ে জোট

২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ যখন নানান ছক আঁকছে এবং বিভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে, সেখানে বিএনপির পরিকল্পনা এখনো অজানা। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে তারা অংশ নিতে আগ্রহী নয়। বিষয়টিকে তারা প্রধান দফা হিসেবে রাজনীতির মাঠে ইতিমধ্যেই জানান দিয়েছে।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনগুলো থেকে লব্দ অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে বিএনপি এবার দুটো বিষয়ে বেশ জোর দিয়েছে। একটি হলো সমমনা দলগুলোকে নিয়ে একটি শক্তিশালী সরকার বিরোধী জোট গঠন করা এবং আরেকটি হলো নিজ দলকে যতটা সম্ভব গুছিয়ে নেওয়া। তবুও নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছে বিএনপি এমন প্রশ্নে বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘অনেকের মনে হতে পারে শেষ মুহূর্তে হয়ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে কিন্তু সত্যি হলো নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং আওয়ামী লীগ যদি আগের দুইবারের মত সে চেষ্টা করে তাহলে সেটা জনগনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।’

কোন কারণে যদি সরকার অনড় অবস্থানে থেকে নির্বাচন করে ফেলতেও চায় সেক্ষেত্রে বিএনপির ইচ্ছে বৃহত্তর জোট গঠন করে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে দলটি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দলকে জোটভুক্ত করার প্রয়াসে একের পর এক দলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। জোট গঠনের ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান দলের প্রবীণ ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের উপরই আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি একের পর এক সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে এবং আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে তারা গণমাধ্যমকে ব্রিফও করছে। সেই সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী বিষয়াদি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকেও সবিস্তারে জানানো হচ্ছে বলেও এক সূত্রে জানা গেছে।

কি লক্ষ্যে এবারের জোট গঠন নিয়ে বিএনপি অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে এমন প্রশ্নে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ আমরা আসলে জোট গঠনের জন্য আলোচনা করছিনা, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াসে এই আলোচনা। আমাদের দুটো জোট পূর্বেই ছিল যেগুলো আমরা এখনো ভাঙিনি। একটি হল ২০ দলীয় জোট এবং আরেকটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু আমরা এখন ওই দুটি জোটের বাইরের দলগুলোর সাথেও আলোচনা করছি। আগামী নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় সরকার কিভাবে গঠন করা যায় এবং বর্তমান সরকারকে সেটা করতে বাধ্য করা যায় সেটাই হবে জোটের প্রধান লক্ষ্য।’

জোট বিষয়ে দলের প্রবীণ নেতৃবৃন্দের প্রতি আস্থা রাখলেও নিজের দল বিএনপি পুনর্গঠনে সরাসরি ভূমিকা রাখছেন তারেক রহমান। মূল দল থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনগুলোকে চাঙ্গা করার জন্য একের পর এক কমিটি দিচ্ছেন, কোথাও রদবদল করছেন আবারও কোথাও প্রয়োজন মত সংযোজন বিয়োজন করছেন। কিছুদিন আগেই বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে নতুন মুখ আনয়নসহ কিছু রদবদর করেছেন এবং দফতরে লোকবল বাড়িয়েছেন। মিডিয়া সেল নামে নতুন একটি উইং গঠন করেছেন। নবগঠিত এই উইং এর কাজ সম্পর্কে মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে গণমাধ্যমের ব্যাপ্তি, ক্ষমতা ও প্রভাব অনেকে বেড়ে গিয়েছে। দেশের বৃহত্তর দল হিসেবে দেশের হারানো গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই এখন বিএনপির মূল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিএনপির সামগ্রিক রাজনৈতিক, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে এক নতুন ধারায় প্রবাহিত করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। তারই একটি অংশ বিএনপির মিডিয়া সেল গঠন। মিডিয়া সেল দেশের প্রচলিত গণমাধ্যম এবং বিকল্প গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতার লক্ষ্য বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করে দলের সামনে অবিলম্বে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তাব করবে। আর এটিই এখন বিএনপি মিডিয়া সেলের লক্ষ্য।’

বিএনপির শক্তিশালী অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়ে নিয়মিত কাজ করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। নিয়মিত স্কাইপে বৈঠক করছেন । মহানাগর, জেলা, থানা থেকে শুরু ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনে ভূমিকা রাখছেন বলে জানা গেছে। ছাত্রদল কমিটি গঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান কিভাবে ভূমিকা রাখছেন এমন প্রশ্নে ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ জানান, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দ্রুত সময়ে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। কমিটি দেওয়া সব সংগঠনেরই একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে উনি এবার যেটাতে জোর দিয়েছেন সেটা হলো কার্যকরি কমিটি গঠন করা। যে কমিটিগুলো সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এবং আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখবে। আরেকটি বিষয় আমরা উনার কাছে উপস্থাপন করেছি এবং তাতে উনি সায় দিয়েছেন। সেটা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কমিটিগুলো যেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এবং তাতে যেন অভিজ্ঞরা স্থান পায়।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন