কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গরম কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলা?

www.ajkerpatrika.com বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২, ১২:২৬

গরম কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায় ঝাঁপিয়ে পড়ার দুর্বুদ্ধি যাঁরা দেন, তাঁদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের ওপরও অবশ্যই চাপ রাখতে হবে, যাতে সরকার ভয়াবহ সংকটকালেও কোনো ধরনের খামখেয়ালিপনা করতে না পারে। আন্দোলনের নামে উচ্ছৃঙ্খলতা নয়, শান্তি বজায় রেখে সরকারের অপচয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে।


দেশে কি খুব শিগগির বড় ধরনের কোনো আন্দোলন হওয়ার সম্ভাবনা কেউ দেখছেন? এই প্রশ্নের উত্তর এককথায় আর কেউ দিতে না পারলেও বিএনপির নেতারা নির্দ্বিধায় হাত তুলে বলবেন, অবশ্যই। সরকার পতনের ঘণ্টাধ্বনিও তাঁরা শুনছেন। আবার সরকারি দলের নেতারা বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে বলেন, অমন আন্দোলনের কথা তো সেই কত বছর ধরেই শুনছি। তারা কাজে বড় নয়, শুধু কথায়ই বড়।


আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে টানা তিন মেয়াদে। এই সময়জুড়েই বিএনপি সরকার হটানোর আন্দোলনের কথা বলে আসছে। এর মধ্যে দুই দফায় বেশ বড় গোলযোগ তৈরির চেষ্টা করে, বোমাবাজি, আগুন-সন্ত্রাস করেও সরকারের ভিত দুর্বল করতে পারেনি। উল্টো তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন আর তাই আন্দোলনের কথা শুনলে খুব উৎসাহবোধ করে না।


আগে আমাদের দেশে একাধিক গণ-আন্দোলন বা গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান ও বাংলাদেশ আমলে এরশাদ—এই দুই সামরিক স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে গণ-আন্দোলনের কারণেই। কিন্তু দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর অবশ্য কোনো নির্বাচিত সরকারকেই মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়ার আগে আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটানো যায়নি। আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদকালে আন্দোলন করে হটাতে পারেনি। বিএনপিও পারছে না শেখ হাসিনাকে হটাতে। মানুষ এখন আর আন্দোলন করে সরকারকে গদিচ্যুত করতে উৎসাহ পায় না। কারণ, সরকার বদল হলে যারা ক্ষমতায় যায়, তাদের কারও কারও ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তন হলেও সাধারণ মানুষের লাভ তেমন কিছু হয় না।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য প্রায়ই বলেন যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের সাধারণ মানুষ কিছু না কিছু পায়। অন্যরা ক্ষমতায় গেলে নিজেরাই সব চেটেপুটে খায়। কথাটি শতভাগ সত্য হলে ভালো হতো। কিন্তু তা তো নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দলের মোটা আলীরা যা পায়, সেই তুলনায় জনতা, অর্থাৎ চিকন আলীদের পাওয়ার পরিমাণ একেবারেই সামান্য। তবু বিএনপি বা অন্য দলের চেয়ে আওয়ামী লীগের গণমুখী রাজনীতির যে বৈশিষ্ট্য ছিল, এখন তারও পরিবর্তন এসেছে। তৃণমূলের মানুষদের আওয়ামী লীগের কাছে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিতে ব্যবধান বাড়ছে। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা, এমপি, মন্ত্রীর দুর্নীতির কথা অনেক মানুষের মুখে মুখে ফিরলেও তাঁরা এসব শোনেন না। নীতিনির্ধারকেরা মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বললেও বাস্তবে দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয়ের নীতি নিতেই দেখা যায়।


বিএনপি আগে আন্দোলন জমাতে পারেনি বলে এখন বা অদূর ভবিষ্যতেও জমাতে পারবে না, সেটা জোর দিয়ে বলা যায় না। একটা কথা ঠিক যে দিন-তারিখ ঠিক করে কোনো গণ-আন্দোলন হয় না। কোন ঘটনায় মানুষ পথে নামবে বা কী ঘটলে মানুষের ক্ষোভ প্রশমন করা সহজ হবে না, তা আগে থেকে বলা যায় না। অথচ মানুষের মন না বুঝে বিএনপি আন্দোলনের তারিখ বলে তামাশা করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও