চালের বাজারে অতিমুনাফা ও পুষ্টির দ্বন্দ্ব
বাংলাদেশে কৃষি ফসলের বৈচিত্র্যায়ণ ঘটছে। তারপরও ধানই আমাদের প্রধান ফসল। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। গত ৫০ বছরে খাদ্যশস্য, বিশেষত ধানের আবিস্কৃত জাত, ফলন ও উৎপাদনের পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে। কৃষক ধানের জোগান দিচ্ছেন। তবে চালকলের মাধ্যমে সেই ধান চালে রূপান্তরিত হয়ে এক বা একাধিক হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পৌঁছাচ্ছে। অটোরাইস মিলগুলোর মাধ্যমেই বেশিরভাগ চাল উৎপাদন হয় বিধায় তাদের উৎপাদন-আচরণ এখানে প্রধান বিবেচ্য। এটা অনস্বীকার্য যে, চাল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থায় ভোক্তার অধিকার ও স্বার্থ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পাশাপাশি ধান গবেষকদের কর্মসাফল্য কদর্যভাবে অবমূল্যায়িত।
এরূপ অবস্থায় কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন :বাজার থেকে সত্যিকার অর্থে আমরা কোন ধানের চাল ক্রয় করছি? আমরা কি যৌক্তিক মূল্যে যথাযথ পুষ্টিমানসম্পন্ন চাল পাচ্ছি? চালের পুষ্টিমান নিয়ন্ত্রণ ও বিপণনে কার্যকর সরকারি নীতি আছে কিনা এবং থাকলে তার কার্যকারিতা কতটুকুু? ধান গবেষকদের আবিস্কৃত ধান থেকে উৎপাদিত চালের বস্তার গায়ে সংশ্নিষ্ট ধানের নামগুলো স্পষ্ট ও সন্দেহমুক্তভাবে মুদ্রিত থাকে কি? বাজার পর্যবেক্ষণ, কেনাকাটা ও ভোগের অভিজ্ঞতা থেকে এসব প্রশ্নের অবতারণা।