পাবলিকের কী হবে?

দেশ রূপান্তর মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২২, ০৯:০৪

হিসাব করে দেখলাম আজ থেকে আটান্ন বছর আগে এই ঢাকা শহরে এসেছিলাম। ছাত্রাবস্থায় সকালের নাস্তা খরচ দুটো পরোটা চার আনা, দু’আনার মাংস, দু’আনায় এক কাপ চা। আট আনাতেই সকালের নাস্তাটা হয়ে যেত। বাকি দু’বেলা হোস্টেলে খাওয়া, সেখানে দিতে হতো পঁয়ত্রিশ টাকা। এই পঁয়ত্রিশ টাকার মধ্যে আবার মাসে একবার ফিস্ট একবার ইমপ্রুভড ডায়েট। এই ব্যবস্থা চলেছে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত। সেটাও খুব উঁচু মানের। এসব কথা আজকের তরুণদের কাছে বললে তারা বিশ্বাস করে না, বরং গল্পকথা বলে উড়িয়ে দেয়।


সতেরশ সালে এই শহরে এক টাকা থাকলেই পরিবার-পরিজন নিয়ে মোটামুটি মাস কাবার হয়ে যেত। এগুলো আমাদের কাছে গল্পকাহিনী নয়। সতেরশ সাতান্ন সালে টাকায় তিন মণ চাল পাওয়া যেত। কিন্তু ব্রিটিশের লুণ্ঠনের ফলে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময়ে এক টাকায় মাত্র ছয় সের চাল পাওয়া গেল। ঐ সময়ে দুর্ভিক্ষে এত লোক মৃত্যুবরণ করেছিল যে তৎকালীন ঢাকার লোকসংখ্যা সতেরশ সালে যেখানে দশ লাখ ছিল আঠারো শ’ সালে সেখানে পঞ্চাশ হাজার হলো। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে ঢাকার জনসংখ্যা আবার বাড়তে থাকে। কিন্তু সেই বাড়াটাও বেশ সহনশীল। সাতচল্লিশে দেশ বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী হওয়াতে জনসংখ্যা একটু বাড়ল, অনেকটা একটা বড় মফস্বলের মতো। কিন্তু জনসংখ্যা স্ফীত হতে শুরু করল বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে।


ঢাকামুখী মানুষের স্রোত আর থামল না, এখন যদিও সঠিক পরিসংখ্যান নেই, তবুও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মিলে জনসংখ্যা আড়াই কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা আয়তনে যে খুব একটা বেড়েছে তা নয়, তাই এই জনসংখ্যার চাপ প্রথমে গিয়ে পড়েছে বাড়ি ভাড়ার ওপর। সত্তরের দশকের পর থেকেই বাড়ি ভাড়া বাড়তে থাকে। কখনো লাফিয়ে লাফিয়েও তা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে মানুষগুলো ঢাকা শহরের কেন্দ্রে অবস্থান করত তারা চলে যায় দূরে, আর যারা প্রান্তিক মানুষ ছিল তারা হটে যায় ঢাকার বাইরে এবং কেউ কেউ আশপাশের বস্তিতে। এর মধ্যে এক দোতলা তিনতলা চারতলা বাড়িগুলো ভাঙা শুরু হয়, আসে অ্যাপার্টমেন্ট ব্যবসা। নগর পরিকল্পনাহীনভাবে জিম্মি হয়ে পড়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের হাতে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও