যার আবৃত্তি নাড়িয়ে দেয় হৃদয়ের সব কিছু
আবৃত্তিশিল্পী হাবীবুল্লাহ সিরাজী একবার এক অনুষ্ঠানে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘রবীন্দ্র-পরবর্তী যুগেও বাংলা ভাষা নিয়ে যে কাজগুলো হচ্ছে, তাতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে হয় না। মাইকেলকে বাদ দিয়ে হয় না। তবে রবীন্দ্রনাথকে শীর্ষে রেখে আমরা বাংলাদেশেও সাহিত্যে নবচর্চা করতে চাইছি। সেটি জোরদার হবে যাদের দিয়ে, সেই ধারক ও বাহকদের মধ্যে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় অন্যতম।’ একই অনুষ্ঠানে রূপা চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আসলে আবৃত্তিসম্রাট। তিনি আমাদের ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিলেন। আবৃত্তি যে একটি চর্চার ব্যাপার, সেটা বুঝিয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।’ আজ এই প্রখ্যাত আবৃত্তিকার ও অভিনেতার জন্মদিন। তিনি ৭৭ বছরে পা রাখছেন। জন্মদিনকে ঘিরে তার নিজের কোনো বিশেষ আয়োজন নেই।
তিনি জানান, ঘরোয়াভাবেই রাজধানীতে নিজ বাসায় জন্মদিন উদযাপিত হবে। জন্মদিন প্রসঙ্গে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বেশ মজা করেই বলেন, ‘আমি তো আসলে সব সময় নিজেকে ৩৩ বছরের একজন মানুষ মনে করি। আজ ৩৪-এ পা রাখব। যাহোক আমি আমার বাবা কালিকানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও মা স্নেহলতা দেবীর ভালোবাসার ফসল। আর মানুষের ভালোবাসাই আমাকে আজ এতদূর নিয়ে এসেছে। একজন শিল্পী হিসেবে আমি এখনো অতৃপ্ত। আমার মাঝে অতৃপ্তি রয়ে গেছে, সেটা আবৃত্তিতেও এবং অভিনয়েও। আমি আজীবন একজন শিক্ষার্থী। জন্মদিনে সবার কাছে আশীর্বাদ চাই যেন সুস্থ থাকি, ভালো থাকি।’ জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ১৯৬৯ সালে লেনিন জন্মশতবার্ষিকীতে কলকাতার রঞ্জি ইনডোর স্টেডিয়ামে নজরুলতনয় কাজী সব্যসাচীর সঙ্গে দ্বৈত ও একক আবৃত্তি করেন। তিনি ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, স্কটল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান করেছেন।