সুখী থাকার সঙ্গে দীর্ঘ সময় গেইম খেলার সম্পর্ক নেই: গবেষণা
৩৯ হাজার গেইমারের ওপর গবেষণা চালিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনে সুখী থাকার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে গেইম খেলার কোনো সম্পর্কই নেই।
দীর্ঘ সময় ধরে যারা গেইম খেলেন, তারা জীবন নিয়ে অন্যদের চেয়ে খুশি- এমন ইঙ্গিত মিলেছিল ‘অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট’-এর আগের গবেষণায়। কিন্তু, ২০২০ সালে করা ওই গবেষণাটির পরিধি ছিল ছোট, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও ছিল কম।
কিন্তু বিপরীতমুখী তথ্য দিচ্ছে একই সংস্থার সাম্প্রতিক গবেষণা। বিবিসি জানিয়েছে, ‘অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট’-এর গবেষকরা এখন বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে গেইম খেলার সঙ্গে নিজের জীবন নিয়ে সুখী থাকার মধ্যে কোনো সম্পর্কের প্রমাণ নেই বললেই চলে।
এক্ষেত্রে গবেষকরা ‘ভালো থাকা’র বিষয়টি পরিমাপ করেছেন জীবন নিয়ে আত্মতুষ্টি, সুখ, দুঃখ, রাগ ও হতাশার মতো অনুভূতিগুলোর মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে।
গবেষকরা বলছেন, নিজের জীবন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বা আত্মতুষ্টিতে কোনো প্রভাব নজরে আসার জন্য একজন গড়পরতা গেইমারকে দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিয়মিত গেইম খেলতে হবে। সেক্ষেত্রেও গেইমের পেছনে খরচ করা সময়ের চেয়ে, বাড়তি সময় দেওয়ার পেছনের কারণটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
উভয় গবেষণাতেই অংশ নিয়েছিলেন অধ্যাপক অ্যান্ডু শিবিলস্কি। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, “সাধারণভাবে ভাবলে, আপনার হাতে যদি ভিডিও গেইমের জন্য ফাঁকা সময় থাকে, আপনি সম্ভবত মানুষ হিসেবে বেশ সুখী।”
“ভিডিও গেইমকে আমাদের জন্য ভালো বা খারাপ যাই ভাবি না কেন; আমরা গবেষণা থেকে উপসংহার টানার মতো প্রমাণ পেয়েছি যে আপনি কতো বেশি খেলছেন তার সঙ্গে সুখী থাকার কোনো সম্পর্কই নেই।”
একজন গেইমার যদি বাধ্য না হয়ে বরং স্বেচ্ছায় গেইম খেলেন তবে এতে তার ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
- ট্যাগ:
- প্রযুক্তি
- মোবাইল গেইম
- সুখী হওয়া