হবিগঞ্জে শিল্পকারখানার উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে

প্রথম আলো হবিগঞ্জ প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২২, ১৮:৫৫

সায়হাম টেক্সটাইল ও কটন মিলে উৎপাদিত সুতা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে দেশের শতভাগ রপ্তানিমুখী বহু পোশাক কারখানাও সুতা নেয়। কিন্তু দেশে তীব্র লোডশেডিং শুরু হওয়ায় কয়েক দিনে এই কারখানার উৎপাদন কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।


হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত সায়হাম টেক্সটাইল ও কটন মিলের উৎপাদন প্রকৌশলী রেজাউল হকের মুখেই বিষয়টি শোনা যাক। গত রোববার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন আমরা ভালোই উৎপাদন করে আসছিলাম। কিন্তু কিছুদিন ধরে আমাদের এলাকায় গ্যাসের ফ্লো (চাপ) কমে গেছে। পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের কারণে মারাত্মক বিপর্যয়ে পড়েছি। গ্যাসের ফ্লো যেখানে ১৫০ থেকে ১২০ পিএসআই থাকার কথা সেখানে এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪৭ পিএসআই। এ পরিস্থিতিতে আমাদের উৎপাদন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কমে গেছে।’


শুধু সায়হাম টেক্সটাইল ও কটন মিলই নয়, হবিগঞ্জে গড়ে ওঠা শতাধিক শিল্পকারখানা এখন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের তীব্র সংকটে পড়েছে। এতে তাদের উৎপাদন কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এই অবস্থায় অনেক প্রতিষ্ঠানই লোকবল কমানোর চিন্তা করছে বলে জানা গেছে।


ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হবিগঞ্জ জেলার ওলিপুর থেকে মাধবপুর উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৮–১০ বছর আগে শতাধিক শিল্পকারখানা গড়ে ওঠে। কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহারের সুয়োগ থাকার কারণেই মূলত হবিগঞ্জে শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হয়েছিল।


দেশের অন্যতম গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড এবং শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র ও বিবিয়ানা বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। হবিগঞ্জের পাঁচটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে। কিন্তু বিদ্যুৎ ও গ্যাসের পর্যাপ্ততাকে বিবেচনায় নিয়ে সেখানে গড়ে ওঠা কারখানাগুলো এখন বিপর্যয়ে পড়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও